পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫২২৬-[৭২] আবূ আইয়ুব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী (সা.) -এর নিকট এসে বলল, আমাকে সংক্ষেপে কিছু উপদেশ দিন। তখন তিনি (সা.) বললেন : যখন তুমি সলাতে দাঁড়াবে, তখন সে সলাতকে নিজের জীবনের শেষ সলাত মনে করে আদায় করবে। আর এমন কোন কথা বলো না, যার দরুন আগামীকাল (কিয়ামতের দিন) ত্রুটি স্বীকার করতে হবে এবং মানুষের হাতে যা আছে। তা হতে তোমার নৈরাশ্যকে সুদৃঢ় করে নাও।
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رَحل إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: عِظْنِي وَأَوْجِزْ. فَقَالَ: «إِذَا قُمْتَ فِي صَلَاتِكَ فَصَلِّ صَلَاةَ مُوَدِّعٍ وَلَا تَكَلَّمْ بِكَلَامٍ تَعْذِرُ مِنْهُ غَدًا وَأَجْمِعِ الْإِيَاسَ مِمَّا فِي أَيْدِي النَّاس» ضعیف ، رواہ احمد (5 / 412 ح 23894) [و ابن ماجہ (4171 و سندہ ضعیف)] * عثمان بن جبیر مجھول الحال و للحدیث شواھد ضعیفۃ ۔
ব্যাখ্যা : ‘শেষ সলাত' মনে করার অর্থ হলো, তুমি হয়তো আর বাঁচবে না, এটাই হবে তোমার জীবনের শেষ সলাত। অতএব তুমি অতীব সুন্দর করে তা আদায় করবে। যাতে তোমার শেষ ‘আমাল হয় উত্তম। এতে এটাও নির্দেশ করা হয়েছে যে, দুনিয়ার প্রতি তোমার দীর্ঘ আশা ত্যাগ কর কারণ তোমার মৃত্যু তো অতীব নিকটে। মানুষ যখন কথা বেশি বলে তখন তার ভুলও বেশি হয়ে থাকে। অতএব কথা বলা থেকে বিরত থাকা নিরাপদ। আর যে কথা বলবে তা ভেবে চিন্তে বলা উচিত, কারণ মুখ থেকে কোন কথা বের হয়ে গেলেন আর ফিরিয়ে আনা যায় না। তাই এমন কথা বলবে না যার জন্য আগামীকাল অর্থাৎ কিয়ামতের দিন ত্রুটি স্বীকার করতে হয়। এটা ঐ হাদীসের শিক্ষা যেখানে বলা হয়েছে, “একজন মানুষের প্রকৃত ইসলাম হলো অনর্থক কথা বর্জন করা।”
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) এই লোকটিকে নাসীহাত স্বরূপ বলেন: তুমি লোভ-লিপ্সা বর্জন করে নৈরাশ্যতাকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা কর। কেউ কেউ অর্থ করেছেন তোমার অন্তরকে নৈরাশ্যতার মধ্যম পন্থা অবলম্বনে ও লোভ বর্জনে অভ্যস্ত কর। অন্যের নিকট যা রয়েছে তার দিকে দৃষ্টিপাত না করে তোমার জন্য নির্ধারিত অংশে পরিতুষ্ট থাকার নীতি অবলম্বন কর।
(মিরকাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩০৭ পৃ. আল লুমু'আহ ৮ম খণ্ড, ৪৫০ পৃ.)