পরিচ্ছেদঃ ৭১. হজ্জের মৌসূমে (সময়ে) খুতবা দেওয়া
১৯৫১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জি’রাণ নামক স্থান হতে উমরাহ করে ফিরে এসে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে হাজ্জের আমীর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে আসলাম। যখন ’আরজ’- নামক স্থানে পৌছলেন তখন সকাল হলে তিনি তাকবীর বলার জন্য প্রস্তুত হলেন। এমন সময় তাঁর পেছনে উটের শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি তাকবীর না দিয়ে বললেনঃ এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উটনী জাদঃআর শব্দ। হয়তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, আমরা তার সঙ্গে সালাত আদায় করবো। হঠাৎ দেখা গেল এর আরোহী হলেন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেনঃ আপনি কি আমীর হিসেবে এসেছেন, না সংবাদ বাহক হিসেবে। তিনি বললেনঃ আমি সংবাদ বাহক হিসেবে এসেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সূরা বারাআত (বা তাওবা) সহ প্রেরণ করেছেন। আমি হজ্জের বিশিষ্ট স্হান সমুহে লোকদেরকে তা পাঠ করে শুনাব। আমরা মক্কায় আগমন করলাম। ’ইয়াওমুত তারবিয়া’ (যিলহাজ্জের ৮ তারিখ)-এর একদিন পূর্বে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের মাঝে দাড়িয়ে খুৎবা দিলেন এবং তাদের হাজ্জের আহকামসমূহ তাদের নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি তাঁর খুতবা শেষ করলে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়ালেন এবং তিনি লোকদের মাঝে সূরা বারাআত শেষ পর্যন্ত পাঠ করে শুনালেন। এরপর আমরা তাঁর সঙ্গে বের হলাম।
যখন আরাফার দিন উপস্থিত হলো, তখন আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিলেন, তাদের কাছে হজ্জের আহকামসমূহ বর্ননা করলেন। যখন তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মধ্যে সূবা বারাআত শেষ পর্যন্ত পাঠ করে শুনালেন। এরপর কুরবানীর দিন আসলে আমরা তাওয়াফে ইফাযা করলাম। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফিরে এসে লোকের মধ্যে খুতবা দিলেন। তাতে তিনি তাদের প্রত্যাবর্তন, কুরবানীর আহকাম এবং হজ্জের আহকাম বর্ণনা করলেন। তিনি যখন খুৎবা শেষ করলেন, তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মধ্যে সুরা বারাআত শেষ পর্যন্ত শুনালেন। প্রখম নফরের দিন আসলে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন; কিরুপে নফর বা যাত্রা করতে হবে এবং রমী করতে হবে সে সমস্ত আহকাম তাদেরকে শিক্ষা দিলেন। তিনি খুৎবা শেষ করলে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মাঝে সূরা বারাআত পড়ে শুনালেন এবং তা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।[1]
بَاب فِي خُطْبَةِ الْمَوْسِمِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى أَبِي قُرَّةَ هُوَ مُوسَى بْنُ طَارِقٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَجَعَ مِنْ عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ عَلَى الْحَجِّ فَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ ثُوِّبَ بِالصُّبْحِ فَلَمَّا اسْتَوَى لِيُكَبِّرَ سَمِعَ الرَّغْوَةَ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَوَقَفَ عَنْ التَّكْبِيرِ فَقَالَ هَذِهِ رَغْوَةُ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَدْعَاءِ لَقَدْ بَدَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُصَلِّيَ مَعَهُ فَإِذَا عَلِيٌّ عَلَيْهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمِيرٌ أَمْ رَسُولٌ قَالَ لَا بَلْ رَسُولٌ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَرَاءَةٌ أَقْرَؤُهَا عَلَى النَّاسِ فِي مَوَاقِفِ الْحَجِّ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمٍ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ خَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَأَفَضْنَا فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو بَكْرٍ خَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ إِفَاضَتِهِمْ وَعَنْ نَحْرِهِمْ وَعَنْ مَنَاسِكِهِمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلُ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ يَنْفِرُونَ وَكَيْفَ يَرْمُونَ فَعَلَّمَهُمْ مَنَاسِكَهُمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ بَرَاءَةٌ عَلَى النَّاسِ حَتَّى خَتَمَهَا