পরিচ্ছেদঃ ৫২. (মুযদালিফায়) দু’ সালাত একত্রে আদায় করা
১৯১৮. কুরাইব থেকে বর্ণিত। তিনি উসামা ইবনু যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সওয়ারীর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন তখন আরাফাতের দিন সন্ধায় কি করেছিলেন? তিনি বললেন, লোকেরা ’মুয়ারিরস’ নামক মসজিদের (মাগরিবের নামায পড়ার) জন্য উট থামালো, আমরা সে উপত্যকার গিরিপথে আসলাম। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তার উট থামালেন এবং পেশাব করলেন। -আর (উসামা) পানি ঢালার কথা এখানে উল্লেখ করেননি। তারপর তিনি উযুর পানি আনালেন এবং হালকাভাবে অযু করলেন –অতি উত্তমরূপে ওযু করলেন না। তখন আমি বললাম রাসুলুল্লাহ! সালাতের সময় হয়েছে। তিনি বললেন, “সালাত (এর স্থান) তোমার সম্মুখে।” তারপর তিনি সওয়ার হলেন এবং আমরা মুযদালিফায় এসে পৌছলাম। এরপর মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তারপর লোকেরা নিজ নিজ স্থানে তাদের উট বেঁধে রাখলো এবং এশার নামায সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এগুলোকে বন্ধনমুক্ত করলো না। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করলেন। এরপর তারা উট ছেড়ে দিল। (রাবী বলেন,) আমি বললাম, ভোরে আপনারা কি কি করেছিলেন? তিনি বললেন, ফযল ইবনে আব্বাস তাঁর (রাসুলের) সওয়ারীর পিছে বসলো এবং আমি কুরাইশদের সাথে পায়ে হেটে অগ্রসর হলাম।[1]
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ أَنَّهُ سَأَلَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ قَالَ أَخْبِرْنِي عَشِيَّةَ رَدِفْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ فَعَلْتُمْ أَوْ صَنَعْتُمْ قَالَ جِئْنَا الشِّعْبَ الَّذِي يُنِيخُ النَّاسُ فِيهِ لِلْمُعَرَّسِ فَأَنَاخَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاقَتَهُ ثُمَّ بَالَ وَمَا قَالَ أَهْرَاقَ الْمَاءَ ثُمَّ دَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا لَيْسَ بِالسَّابِغِ جِدًّا قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلَاةَ قَالَ الصَّلَاةُ أَمَامَكَ قَالَ فَرَكِبَ حَتَّى قَدِمْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَنَاخَ وَالنَّاسُ فِي مَنَازِلِهِمْ فَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى أَقَامَ الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ فَصَلَّى ثُمَّ حَلَّ النَّاسُ قَالَ قُلْتُ أَخْبِرْنِي كَيْفَ فَعَلْتُمْ حِينَ أَصْبَحْتُمْ قَالَ رَدِفَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ عَلَى رِجْلَيَّ