পরিচ্ছেদঃ ৩১. সাদাকা (যাকাত) আদায়কারী কর্মাচারীকে হাদীয়া দেয়া হলে তা কার জন্য?
১৭০৬. হুমায়দ সা’ইদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করেন। যখন সে যাকাত আদায় করে ফিরে আসলো, তখন সে বললোঃ এগুলো আপনাদের জন্য এবং এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে । তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ”তুমি তোমার পিতা- মাতার গৃহে বসে থেকে দেখতে যে, তোমাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? “অত:পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিকালের সালাত শেষে মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন এবং শাহাদতের বাক্য উচ্চারণ করে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণগান আদায়ের পর বললেনঃ “অত:পর, আমি যাকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করে পাঠাই, তার কী হলো যে, সে ফিরে এসে বলবেঃ ’এই মাল তোমাদের এবং এই হাদিয়া আমাকে দেওয়া হয়েছে?!’
সে তার পিতা-মাতার গৃহে বসে থেকে দেখলো না কেন যে, তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? যাঁর হাতে আমার জীবন, সেই মহান সত্তার কসম! তোমাদের কেউ (যাকাতের সম্পদ হতে) কোনো জিনিস আত্মসাৎ করলে কিয়ামতের দিন সে তা (কাঁধে) বহন করে নিয়ে উপস্থিত হবে। যদি তা উট হয়, তবে সে উট আওয়ায করতে থাকবে। যদি গাভী হয়, তবে গরু হাম্বা-হাম্বা ডাক দিতে দিতে আসবে। আর যদি বকরী হয়, তবে সেটিও ডাকতে থাকবে। এরপর তিনি (সা) তাঁর দু’হাত (দু’আর জন্য) এত উপরে উঠালেন যে, আমরা তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছিলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আমি কি (তোমার হুকুম) পৌছে দিয়েছি ?” আবূ হুমাইদ বলেন, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও আমার সাথে এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে শুনেছেন। ফলে তোমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করে দেখ।[1]
بَاب مَا يُهْدَى لِعُمَّالِ الصَّدَقَةِ لِمَنْ هُوَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ عَامِلًا عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَهُ الْعَامِلُ حِينَ فَرَغَ مِنْ عَمَلِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الَّذِي لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَلَّا قَعَدْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ فَنَظَرْتَ أَيُهْدَى لَكَ أَمْ لَا ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةً بَعْدَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ وَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ مَا بَالُ الْعَامِلِ نَسْتَعْمِلُهُ فَيَأْتِينَا فَيَقُولُ هَذَا مِنْ عَمَلِكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَهَلَّا قَعَدَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ فَيَنْظُرَ هَلْ يُهْدَى لَهُ أَمْ لَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ مِنْهَا شَيْئًا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى عُنُقِهِ إِنْ كَانَ بَعِيرًا جَاءَ بِهِ لَهُ رُغَاءٌ وَإِنْ كَانَتْ بَقَرَةً جَاءَ بِهَا لَهَا خُوَارٌ وَإِنْ كَانَتْ شَاةً جَاءَ بِهَا تَيْعَرُ فَقَدْ بَلَّغْتُ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ ثُمَّ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ حَتَّى إِنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى عُفْرَةِ إِبْطَيْهِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مَعِي مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَسَلُوهُ