হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৯৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. জিবরীল (আ.) এর ইমামতি

৯৮৪(১). ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূর্য ঢলে পড়লে জিবরীল (আ.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন এবং বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি উঠুন এবং যুহরের নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে যুহরের নামায পড়লেন-যখন সূর্য ঢলেছে। তারপর তিনি অপেক্ষা করলেন, এমননি কোন মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘ্যের সমান হলে তিনি (জিবরীল) তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিকট আসরের সময় এলেন এবং বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি উঠুন এবং আসরের নামায পড়ুন। অতএব তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উঠে দাঁড়িয়ে আসরের নামায পড়লেন। তারপর তিনি অপেক্ষা করলেন, যাবত না সূর্য অস্ত গেল। তখন জিবরীল (আ.) বললেন, আপনি উঠুন এবং মাগরিবের নামায পড়ুন। অতএব সূর্য অস্ত গেলে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে মাগরিবের নামায পড়লেন। তারপর তিনি অপেক্ষা করেন যাবত না শাফাক অন্তর্হিত হলো। জিবরীল (আ.) তাঁর নিকট এলেন এবং বললেন, আপনি উঠুন এবং এশার নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে দাঁড়িয়ে এশার নামায পড়লেন। তারপর ফজর (সুবহে সাদেক) উদয় হলে জিবরাঈল (আ.) তাঁর নিকট এলেন এবং বললেন, হে মুহাম্মাদ! উঠে নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ফজরের নামায পড়লেন।

পরের দিন জিবরীল (আ.) তাঁর নিকট এলেন যখন কোন মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘ্যের সমান হলো এবং তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! উঠুন এবং যুহরের নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে দাঁড়িয়ে যুহরের নামায পড়লেন। তারপর জিবরীল (আ.) তাঁর নিকট এলেন যখন কোন মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ হলো এবং তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি দাঁড়িয়ে আসরের নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে আসরের নামায পড়লেন। তারপর সূর্য অস্ত গেলে তিনি একই সময় তার নিকট মাগরিবের নামাযের জন্য আসেন এবং তাঁকে বলতে থাকেন, আপনি উঠে মাগরিবের নামায পড়ুন। অতএব তিনি উঠে মাগরিবের নামায পড়েন। তারপর রাতের প্রথম এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তিনি তাঁর নিকট এশার নামাযের জন্য এলেন এবং বললেন, আপনি দাঁড়িয়ে এশার নামায পড়ুন। অতএব তিনি নামায পড়েন। তারপর তিনি তাঁর নিকট ফজরের নামাযের জন্য আসেন যখন প্রচুর ফর্সা হলো তখন বললেন, আপনি উঠে ফজরের নামায পড়ুন। এরপর তিনি বলেন, এই দুই সময়সীমার মাঝখানেই রয়েছে (নামাযের) পুরা ওয়াক্ত।

بَابُ إِمَامَةِ جِبْرِيلَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ - إِمْلَاءً - ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ ، أَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ ، أَخْبَرَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ ، ثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ ، قَالَ : " جَاءَ جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ ، فَقَالَ : قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ الظُّهْرَ ، فَقَامَ ، فَصَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ ، ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى كَانَ فَيْءُ الرَّجُلِ مِثْلَهُ ، فَجَاءَهُ الْعَصْرَ ، فَقَالَ : قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ الْعَصْرَ ، فَقَامَ ، فَصَلَّى الْعَصْرَ ، ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ ، فَقَالَ : قُمْ فَصَلِّ الْمَغْرِبَ ، فَقَامَ ، فَصَلَّاهَا حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ سَوَاءً ، ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى ذَهَبَ الشَّفَقُ ، فَجَاءَهُ فَقَالَ : قُمْ فَصَلِّ الْعِشَاءَ ، فَقَامَ ، فَصَلَّاهَا ، ثُمَّ جَاءَهُ حِينَ سَطَعَ الْفَجْرُ بِالصُّبْحِ ، فَقَالَ : قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ ، فَقَامَ فَصَلَّى الصُّبْحَ ، ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الْغَدِ حِينَ كَانَ فَيْءُ الرَّجُلِ مِثْلَهُ ، فَقَالَ : قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ الظُّهْرَ ، فَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ، ثُمَّ جَاءَهُ حِينَ كَانَ فَيْءُ الرَّجُلِ مِثْلَيْهِ ، فَقَالَ : قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ ، فَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ ، ثُمَّ جَاءَهُ لِلْمَغْرِبِ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ وَقْتًا وَاحِدًا لَمْ يَزُلْ عَنْهُ ، قَالَ : قُمْ فَصَلِّ الْمَغْرِبَ ، فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ، ثُمَّ جَاءَهُ لِلْعِشَاءِ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الْأَوَّلُ ، فَقَالَ : قُمْ فَصَلِّ الْعِشَاءَ ، فَصَلَّى ، ثُمَّ جَاءَهُ لِلصُّبْحِ حِينَ أَسْفَرَ جِدًّا ، فَقَالَ : قُمْ فَصَلِّ الصُّبْحَ ، ثُمَّ قَالَ : " مَا بَيْنَ هَذَيْنِ كُلُّهُ وَقْتٌ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ