পরিচ্ছেদঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভালো কাজের আদেশ
৫১৪৩-[৭] জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে জাতিতে কোন লোক পাপে লিপ্ত থাকে, আর ঐ ব্যক্তিকে পাপ থেকে ফেরাতে জাতির লোকেদের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও না ফেরায়, তাহলে তাদের মৃত্যুর পূর্বেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করবেন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن جَرِير بن عبد الله قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ رَجُلٍ يَكُونُ فِي قَوْمٍ يَعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي يَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ يُغَيِّروا عَلَيْهِ وَلَا يُغَيِّرُونَ إِلَّا أَصَابَهُمُ اللَّهُ مِنْهُ بِعِقَابٍ قبل أَن يموتو» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যাঃ (عَلٰى أَنْ يُغَيِّروا عَلَيْهِ وَلَا يُغَيِّرُونَ) এখানে হাত বা মুখ দ্বারা বাধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এ কাজ করার জন্য তার ওপর একটি শর্ত রয়েছে তা হলো সে নিজে এমন গর্হিত কাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকবে। এক্ষেত্রে তার ওপর দু’টো বিষয় করণীয় : ১. সে নিজেকে সৎকাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ থেকে বারণ করবে। ২. অন্যকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে। তাকে আরো একটি বিষয় মেনে চলতে হবে সেটা হলো সে সকলের সাথে কোমল ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে। তবেই তার দা‘ওয়াতী কাজে সফল আসবে।
এ প্রসঙ্গে ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে ব্যক্তি গোপনে তার কোন ভাইকে নাসীহাত করল সে যেন তাকে দোষমুক্ত আর পরিপাটি করল, আর যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে তার কোন ভাইকে নাসীহাত করল সে যেন তাকে অসম্মান আর দোষী সাব্যস্ত করল। সুতরাং প্রকাশ্যে কোন ভাইকে নাসীহাত করার চাইতে লোক আড়ালে একান্তে নাসীহাত করাই ভালো। তবে বৃহৎ উপকার লাভে জনসম্মুখে নাসীহাত করা বৈধ আছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৩৩১)