হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫০৭২

পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৭২-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতীতের নবীদের বাণী থেকে মানুষ যা পেয়েছে তা এই যে, যখন তুমি লজ্জাকে তুলে রাখবে, তখন তোমার মনে যা চায় তা-ই করবে। (বুখারী)[1]

بَابُ الرِّفْقِ وَالْحَيَاءِ وَحُسْنِ الْخُلُقِ

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسُ مِنْ كَلَامِ النُّبُوَّةِ الْأُولَى: إِذَا لَمْ تَسْتَحى فاصنعْ مَا شئْتَ رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যাঃ (مِنْ كَلَامِ النُّبُوَّةِ الْأُولٰى) ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর অর্থ হলো, লজ্জার বিধান সর্বযুগে প্রতিষ্ঠিত ছিল। আর এর ব্যবহার নুবুওয়াতের প্রথম যুগ থেকেই ওয়াজিব হিসেবে চালু ছিল। কেননা প্রত্যেক নবীই লজ্জার দিকে আহবান করেছেন এবং এরই উপর তাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাদের শারী‘আতের অন্যান্য বিধানের ন্যায় এ বিধানটি ব্যাহত হয়ে যায়নি। এর কারণ হলো, এটা এমন একটি বিষয় যার প্রতিদান তারা জানতেন। কাজেই সকলেই তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

(فاصنعْ مَا شئْتَ) শারহুস্ সুন্নাহ্তে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে কয়েকটি উক্তি আছে : প্রথমটি হলো, এখানে فاصنعْ শব্দটি খবর এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে, যদিও তা ‘আমর-এর শব্দ। যেন তিনি বলেছেন, যখন তোমার লজ্জা তোমাকে নিষেধ না করবে তখন তুমি তোমার অন্তর যে খারাপের দিকে ডাকে তা তুমি করতে পারবে। আর এই অর্থটি করেছেন আবূ ‘উবায়দাহ্। দ্বিতীয়টি হলো, এটি ধমক দেয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেছেন, ﴿اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ﴾ অর্থাৎ ‘‘তোমার মন যা চায় তুমি তাই কর’’- (সূরাহ্ ফুস্সিলাত ৪১ : ৪০)। কেননা মহান আল্লাহ তোমাকে ছেড়ে দিয়েছেন; এ অর্থ করেছেন আবুল ‘আব্বাস। আবূ তৃতীয়টি হলো, ইসহক আল মাওয়ারদী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তুমি যে কাজটি করবে তা করার পূর্বে তোমাকে অপেক্ষা করা উচিত যদি তুমি সে কাজটি করতে লজ্জা না পাও তবে তা করে ফেল। আর যদি তুমি তা করতে লজ্জা পাও তবে তা করা থেকে বিরত থাক। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৮৯; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)