হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৭১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বসা, ঘুমানো ও চলাফেরা করা

৪৭১৬-[১০] আবূ কতাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে কোথাও যখন আরাম করতেন, তখন ডান পাঁজরে ভর দিয়ে ঘুমাতেন। আর যখন ভোর সংলগ্ন সময়ে কোথাও অবস্থান করতেন, তখন বাহু খাড়া করে হাতের তালুর উপর মাথা রেখে বিশ্রাম করতেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا عَرَّسَ بِلَيْلٍ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ وَإِذَا عَرَّسَ قُبَيْلَ الصُّبْحِ نَصَبَ ذِرَاعَهُ وَوَضَعَ رَأْسَهُ عَلَى كَفِّهِ. رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ»

ব্যাখ্যাঃ বিশ্রাম ও নিদ্রার জন্য মুসাফিরের শেষ রাতে অবস্থান করা, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিয়মনীতি ছিল। সফরের সময় কোথাও বিশ্রাম কিংবা ঘুমানোর জন্য অবস্থান করলে তখন দেখতেন রাত কি পরিমাণ আছে। যদি ভোর হতে দেরী থাকত, তখন তিনি ডান পাজরে কাত হয়ে ঘুমাতেন। মূলত এ পাজরে ঘুমানো ছিল সবসময়ের অভ্যাস। আর যদি ভোর হতে দেরী না থাকত, তখন হাতের কনুইকে মাটিতে ঠেস দিয়ে হাতের তালুর উপর মাথা রেখে ঘুমাতেন। মূলত এ অবস্থায় ঘুমালে যথাসময়ে জাগ্রত হওয়া যায়। ফলে ফজরের সালাত কাযা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কেননা পাজরে ঘুমালে গভীর নিদ্রায় ডুবে থাকার আশংকা কম থাকে। এজন্য ডান পাজরে শোয়াই সুন্নাহ্। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)