পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৫৩০-[১৭] ’আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমরা মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। সুতরাং (ইসলাম গ্রহণের পর) আমরা জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! এ সমস্ত মন্তর সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তখন তিনি বললেনঃ আচ্ছা, তোমাদের মন্তরগুলো আমাকে পড়ে শুনাও। (তবে কথা হলো) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতে কোন আপত্তি নেই, যদি তার মধ্যে শির্কী কিছু না থাকে। (মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَن عوفِ بن مَالك الْأَشْجَعِيّ قَالَ: كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ؟ فَقَالَ: «اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لم يكن فِيهِ شرك» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ (لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لم يكن فِيهِ شرك) ‘‘ঝাড়ফুঁক করা দোষের কিছু নয়, যদি তার মধ্যে শির্কী কিছু না থাকে’’। ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি প্রদান ও নিষেধ করার কারণ হলো এটা। এ হাদীসটির মধ্যে দলীল আছে যে, যে ঝাড়ফুঁকের মাঝে কোন ক্ষতি নেই, শারী‘আতের দৃষ্টিতে যে ঝাড়ফুঁক করা নিষেধ না, সে ঝাড়ফুঁক করা জায়িয এবং উত্তম কাজ। যদিও তার শব্দগুলো আল্লাহর নাম ও তাঁর কালাম তথা কুরআনের শব্দ না হয়। তবে শর্ত হলো ঝাড়ফুঁকের শব্দগুলো সুন্দর অর্থবোধক হতে হবে, যা বুঝে আসে। আর যদি তার অর্থ বুঝা না যায় তবে তা শির্কমুক্ত হওয়া থেকে নিরাপদ নয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৮)
ঝাড়ফুঁক করা মুসলিম সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি। ধর্মপ্রাণ সকল মুসলিম নর-নারী ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করে, ভক্তি করে। এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এক শ্রেণীর ভন্ড-প্রতারক কব্র-মাজার পূজারীরা। তারা ঝাড়ফুঁকের নামে ভক্তদের কাছ থেকে বহু অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ সে ঝাড়ফুঁকের অনেকাংশে কুফরী, শির্কীতে ভরপুর। সমাজ হতে, রাষ্ট্র হতে শির্ক দূর করতে হলে এ জাতীয় কুফরী, শির্কী ঝাড়ফুঁক দূর করতে হবে। [সম্পাদক]