হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৫২০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৫২০-[৭] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ কালোজিরার মধ্যে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা নিহিত আছে। ইবনু শিহাব (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ ’’সাম’’ অর্থ মৃত্যু। আর ’’হাববাতুস্ সাওদা’’ অর্থ শূনীয বা কালোজিরা। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَن أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلَّا السَّامَ» . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: السَّامُ: الْمَوْتُ وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ: الشُّونِيزُ

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে কালোজিরার ব্যাপক ব্যবহার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশনা দিয়েছেন। কখনও তা এককভাবে এবং কখনও অন্য কোন খাবার বা পথ্যের সাথে মিশিয়ে তা ব্যবহার করা হয়। কালোজিরার বহুমুখী ব্যবহার আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় উষ্ণভাবে ব্যবহার ও উষ্ণতায় বিপরীতভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে তা বেশ উপকারী হিসেবে পরীক্ষিত। ইমাম কিরমানীর মতে, সাধারণভাবে তা সকল রোগের মহৌষধ।  (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৬৮৮)

চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলেছেনঃ কালোজিরা হচ্ছে উষ্ণ ও শুষ্ক প্রকৃতির পথ্য। জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ পেটের আর্দ্রতার সমস্যায় এটি বেশ উপকারী। তা গুঁড়া করে গরম পানির সাথে সেবনে প্রস্রাবের সমস্যা দূরীভূত হয়। কালোজিরার গুঁড়া সুতি কাপড়ে নিয়ে শুকলে সর্দি ও ঠাণ্ডা কাশিতে বেশ উপকার হয়। পানির সাথে সামান্য পরিমাণ কালোজিরা খেলে হাঁপানি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ভিনেগার (সিরকা)-এর সাথে গরম করে কুলি করলে দাঁতের ব্যথায় বেশ কার্যকর। অন্যান্য হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালোজিরাকে সাধারণভাবে মৃত্যু বতীত সকল রোগের পথ্য হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আবূ বকর ইবনুল ‘আরাবীর মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট কালোজিরার মাঝে সকল রোগের আরোগ্যের উপাদান রয়েছে। তবে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ভিন্ন পদ্ধতিতে ভিন্ন মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। শায়খ আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবূ হামযাহ্ বলেছেনঃ আলোচ্য হাদীসের ব্যাপারে কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন, তবে তা তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত বিষয়। কিন্তু প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথাই বাস্তব সত্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টি পরীক্ষিত। সমালোচকদের এ বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই। তারা শুধুমাত্র ধারণাপ্রসূত কথাই বলে। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২২০৮-[৭৫])