হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪২৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - থালা-বাসন ইত্যাদি ঢেকে রাখা প্রসঙ্গে

آنِيَة অর্থ পাত্র أَوَانِىْ বহুবচনে মূলত পানাহারের পাত্রের কথা বুঝানো হয়েছে। পাত্রের সম্পূর্ণ অংশ ঢেকে রাখা, কোন অবস্থাতেই খোলা না রাখা। বিশেষ করে রাতের বেলায় খাদ্য পাত্র ঢেকে রাখা অপরিহার্য। কেননা বিষাক্ত পোকা-মাকড় ইত্যাদি রাত্রি বেলায় ছড়িয়ে পড়ে।


৪২৯৪-[১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাত্রের আঁধার নেমে আসে, অথবা বলেছেনঃ সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদেরকে (বাইরে যাওয়া থেকে) আবদ্ধ রাখো। কেননা সে সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাদেরকে ছেড়ে দাও এবং বিসমিল্লা-হ বলে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর বিসমিল্লা-হ পড়ে তোমাদের মশকগুলোর মুখ বন্ধ করো এবং বিসমিল্লা-হ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোন কিছু আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের উপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ تَغْطِيَةِ الْأَوَانِي

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ جِنْحُ اللَّيْلِ أَوْ أَمْسَيْتُمْ فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ فَخَلَّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الْأَبْوَابَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا وَأَوْكُوا قِرَبَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَخَمِّرُوا آنِيَتَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَلَوْ أنْ تعرِضوا عَلَيْهِ شَيْئا وأطفئوا مصابيحكم»

ব্যাখ্যাঃ (إِذَا كَانَ جِنْحُ اللَّيْلِ) সূর্য যখন ডুবে যায়, কারও মতে যখন অন্ধকার হয়ে আসে।

(لَا يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا) ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে দরজা বিসমিল্লা-হ বলে বন্ধ করা হয়। শয়তান সে দরজা খুলতে সক্ষম হয় না। কেননা সে অনুমতিপ্রাপ্ত না, তবে যে দরজা খোলা এবং বন্ধ করা দরজা যাতে বিসমিল্লা-হ বলা হয়নি, তাতে শয়তান অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে।

কারো মতে শয়তান দ্বারা উদ্দেশ্য মানুষরূপী শয়তান, তবে এ মতটি গ্রহণযোগ্য না। মূলত বিসমিল্লা-হ’র বারাকাতে চতুর্দিক হতে শয়তানকে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)