পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৯৮-[৪০] মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের খাদ্য-দ্রব্যকে মেপে নাও, তাতে তোমাদের জন্য বারাকাত দেয়া হবে। (বুখারী)[1]
الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَن المِقدامِ بن معدي كرب عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كيلوا طَعَامك يُبَارك لكم فِيهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ (كِيْلُوْا طَعَامَكُّمْ يُبَارَكُ لَكُمْ) ‘‘তোমরা তোমাদের খাদ্য পরিমাপ কর, তাহলে তোমাদের বারাকাত প্রদান করা হবে।’’
মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ খাদ্য পরিমাপ করার উদ্দেশ্য হলো লোকে যা ধার করে অথবা কেনা-বেচা করে তার পরিমাপ জ্ঞাত হওয়া। যদি ওজন না করা হয় তাহলে ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তুর পরিমাণ অজ্ঞাত থেকে যায়, আর তা অবৈধ। অনুরূপভাবে যা তার পরিবারের জন্য ব্যয় কররে তা যদি ওজন না করা হয় তাহলে তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় কমও হতে পারে। এই কম হওয়াটা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। আবার তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশীও হতে পারে। আর সে সারা বৎসরের জন্য কি পরিমাণ জমা রাখল তা তার অজানা থেকে যাবে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য-দ্রব্য ওজন করতে বলেছেন যাতে সে নিশ্চিত হতে পারে। অতএব যে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত অনুসরণ করবে সে দুনিয়াতে বারাকাত হাসিল করতে পারবে এবং পরকালেও মহাপুরস্কারে ভূষিত হবে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর এ বক্তব্য فَكِلْتُه فَذَهَبَتْ بَرَكَتُه আমি তা ওজন করায় তার বারাকাত চলে গেল। এর জওয়াব এই যে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কেনা-বেচার সময় ওজন করার আদেশ করা হয়েছে। আর ব্যয় করার সময় তা গণনা করা এবং পরিমাপ নিষেধ করা হয়েছে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে বিলাল! ব্যয় কর, মহান ‘আরশের মালিকের নিকট থেকে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করো না। ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মানুষ তার পরিবারের জন্য যা ব্যয় করে তা ওজন করা মুস্তাহাব। এ হাদীসের অর্থ হলো তোমরা যে পরিমাণ সময় নির্ধারণ করেছ সে সময় পর্যন্ত পৌঁছানোর লক্ষ্যে খাদ্য ওজন করে গচ্ছিত রাখ। ইবনুল জাওযী বলেনঃ বারাকাত লাভের কারণ এও হতে পারে যে, ওজন করার প্রারম্ভে ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২১২৮)