পরিচ্ছেদঃ ১২. জুমু’আর সালাত - খুতবা অবস্থায় ইমামের দিকে মুখ করে বসা
৪৭২. ’আবদুল্লাহ বিন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বরাবর হয়ে মিম্বারে উঠতেন, তখন আমরা তাঁকে আমাদের সম্মুখে করে নিতাম। তিরমিযী দুর্বল সানাদে।[1]
[1] তিরমিযী ২০৯, নাসায়ী ৬৭২, আবূ দাউদ ৫৩১, ইবনু মাজাহ ৭১৪, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪৩
ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসের একজন রাবী হচ্ছে মুহাম্মাদ বিন আল ফাযল বিন আতিয়্যাহ, আর সে হলো দুর্বল। (তিরমিযী ৫০৯) ইমাম শওকানী একই কথা বলেছেন, (নাইলুল আওতার (৩/৩২২) বিন বায তাঁর হাশিয়া বুলুগুল মারামে বলেন, সে হচ্ছে দুর্বল (৩১১)। ইবনু হাজার বলেন, তাকে সকলেই মিথ্যাবাদী বলে জানত। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন শাহেদ থাকার কারণে। (ফাযলুস সালাত ১৫, মিশকাত ১৩৫৯, সহীহ ইবনে খুযাইমাহ ১৭৮০) ইবনে উসাইমীন বলেন, এর সানাদ দুর্বল হলেও মতন শক্তিশালী। শরহে বুলুগুল মারাম ২/৩৭২, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৪/২৬৩।
হাদীসটিকে ইবনু হাজার, (১৩৫) ইমাম শওকানী নাইলুল আওতার ৪/৯ গ্রন্থে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন , ইবনে উসাইমীন শরহে বুলুগুল মারাম ২/৩৮৬ গ্রন্থে বলেন, এর মতনটি মুনকার, সহীহ নয়।
ইবনু আদী তাঁর আল কামিল ফিয যুআফা ১/১২ গ্রন্থে, ইবনুল কাইসারানী তাঁর যাখীরুতুল হুফফায ৪/২০৩১ গ্রন্থে, ইমাম যাহাবী তাঁর সিয়ারু আলামুন নুবালা ১২/৫৮৬ ও ২/১১৮ গ্রন্থে, ইমাম হাইসামী তাঁর মাজমাউজ যাওয়ায়েদ গ্রন্থে, ইমাম সানআনী তার সুবুলুস সালাম ২/১০০ গ্রন্থে, আলবানী তার সিলসিলা যাঈফা ৪৩৯৪, যঈফুল জামে ৪৯১১, ইবনে উসাইমীন তার শারহে বুলুগুল মারামে ২/৩৮৬ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। এবং সকলেই এ হাদীসের একজন রাবী ওয়ালীদ বিন ফযলকে দুর্বল, মাতরুক, মাজহুল ইত্যাদি বলে মন্তব্য করেছেন। ইবনু হিব্বান ও দারাকুতনীও তার ব্যাপারে একই মন্তব্য করেছেন।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -[إِذَا] اسْتَوَى عَلَى الْمِنْبَرِ اسْتَقْبَلْنَاهُ بِوُجُوهِنَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ, بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ
-
صحيح. رواه الترمذي (509) وهو وإن كان ضعيف السند، بل موضوع؛ فإنه من رواية محمد بن الفضل بن عطية، وهو كذاب، إلا أنه كما قال الترمذي: «والعمل على هذا عند أهل العلم من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم، يستحبون استقبال الإمام إذا خطب». قلت: وما ذلك إلا من أجل كثرة الآثار الواردة عن الصحابة في ذلك، مع وجود أحدها في «صحيح البخاري»، وفي رسالتي «سنن مهجورة» بيان لهذه السنة، وما ورد فيها من آثار