পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - বিসমিল্লাহ সূরা ফাতেহার আয়াতের অন্তর্ভুক্ত
২৮২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা সূরা ফাতিহা পাঠের সময় ’বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ পাঠ করবে। কেননা ওটা তারই একটা আয়াত। দারাকুৎনী হাদীসটির মওকুফ হওয়াকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন।[1]
[1] দারাকুতনী মারফূ’ ও মাওকুফরূপে ২/৩১২, তোমরা যখন সূরা ফাতিহা পড়বে তখন তোমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়বে। কেননা, সেটি হচ্ছে উম্মুল কুরআন, উম্মুল কিতাব, সাবআ মাসানী। আর বিসমিল্লাহ তারই একটি। তিনি ইলাম গ্রন্থে মাওকুফ সূত্রে (৮/১৪৯) বলেন: এটি হকের অধিক সম্ভাবনা রাখে।
ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর আত-তালখীসুল হাবীর (১/৩৮১) গ্রন্থে বলেন, এ সনদের রাবীগণ বিশ্বস্ত। অনেক ইমাম এ হাদীসটিকে মারফূ’ হওয়ার চেয়ে মাওকুফ হওয়াটাকেই সহীহ বলেছেন। এর শাহেদ রয়েছে যা এটিকে শক্তিশালী করে। ইবনু উসাইমিন শারহু বুলুগুল মারামে (২/৭৬) উল্লেখ করেন এটা মাওকুফ আবূ হুরায়রা পর্যন্ত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহভাবে প্রমাণিত হয়নি। আলবানী সহীহুল জামে (৭২৯) গ্রন্থে, সহীহ সিলসিলাহ সহীহাহ (১১৮৩) এর সনদকে মাওকুফ ও মারফু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইতহাফুল মাহরা বিল ফারায়িদ আল মুবাক্কারা মিন আতরাফিল আশারা (১৪/৬৬৪) গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেন এই হাদীসে আব্দুল হামীদ বিন জা’ফার সত্যবাদী, তবে তার ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়েছে। সঠিক কথা হলো হাদীসটি মাওকুফ। ইবনুল মুলকিন খুলাস আল বাদরুল মুনীর (১/১১৯) ও আল বাদরুল মুনীর (৩/৫৫৮) গ্রন্থে এর সনদে সহীহ বলেছেন। ইমাম যাহাবী তাঁর তাকীহুত তাহকীক (১/১৪৪) গ্রন্থে বলেন, যদি সহীহ হয় তাহলে তা মাওকুফ হিসেবেই সহীহ।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا قَرَأْتُمْ الْفَاتِحَةَ فَاقْرَءُوا: (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) , فَإِنَّهَا إِحْدَى آيَاتِهَا». رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ, وَصَوَّبَ وَقْفَهُ
-
رواه الدارقطني مرفوعا وموقوفا (2/ 312)، ولفظه: «إذا قرأتم الحمد الله، فاقرءوا بسم الله الرحمن الرحيم، إنها أم القرآن، وأم الكتاب، والسبع المثاني، وبسم الله الرحمن الرحيم إحداها». وقال في «العلل»: (8/ 149) عن الموقوف: هو أشبهها بالصواب