হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৮৫৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৮৫৬-[৬৯] হাসনা বিনতু মু’আবিয়াহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার চাচা (হারিস) আমাকে হাদীস বর্ণনা করেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কারা জান্নাতে প্রবেশ করবে? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ নবীগণ, শহীদগণ ও সদ্যপ্রসূত শিশু এবং জীবন্ত কবরস্থ (কন্যা সন্তান) জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ حَسْنَاءَ بِنْتِ مُعَاوِيَةَ قَالَتْ: حَدَّثَنَا عَمِّي قَالَ: قَلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ فِي الْجَنَّةِ؟ قَالَ: «النَّبِيُّ فِي الْجَنَّةِ وَالشَّهِيدُ فِي الْجَنَّةِ وَالْمَوْلُودُ فِي الْجَنَّةِ وَالْوَئِيدُ فِي الْجنَّة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে বিশেষ শ্রেণীর কিছু মানুষকে জান্নাতী বলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নাবীদের পরে সর্বপ্রথম জান্নাতী হলো আল্লাহর রাস্তায় শহীদগণ। সুতরাং এ হাদীসে শহীদদের সৌভাগ্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে।

হাদীসে ‘‘শহীদ’’ শব্দের আরো একটি ব্যাখ্যা করা হয় আর তা হলো এখানে ‘শহীদ’ বলতে সাধারণ মু’মিনরাও উদ্দেশ্য হতে পারে। কেননা আল্লাহ আ‘আলা বলেনঃ অর্থাৎ- ‘‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে, তারাই তাদের রবে্র নিকট সিদ্দীক ও শুহাদা’’- (সূরা আল হাদীদ ৫৭ : ১৯)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(وَالْمَوْلُوْدُ فِى الْجَنَّةِ) এর ব্যাখ্যায় ইমাম খত্ত্বাবী বলেনঃ ‘‘মাওলূদ’’ বলা হয় ঐ নবজাতক শিশুকে, যে ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই মাতৃগর্ভ থেকে পড়ে গেছে- যার কোনো পাপ নেই।

হাদীসের শেষ বাক্য (وَالْوَئِيْدُ فِى الْجنَّةِ) অর্থাৎ- ‘‘ওয়ায়ীদ ও জান্নাতী’’, ইমাম খত্ত্বাবী (রহঃ) এর ব্যাখ্যা করে বলেন, এখানে الوئيد (ওয়ায়ীদ) অর্থ হলো ঐ নবজাতক শিশু, যাকে জীবিত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে দেয়া হয়েছে। জাহিলী যুগের পথভ্রষ্ট মানুষেরা সমাজে লজ্জা ও অপমানের ভয়ে তাদের কন্যা সন্তানদের মাটিতে পুঁতে দিত। আবার তাদের কেউ কেউ অভাবের কারণে পুত্র সন্তানদেরও পুঁতে দিত। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫১৭)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ