পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৭৯৪-[৮] আবূ ’আবস্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর পথে যে বান্দার পদদ্বয় ধূলায় ধূসরিত হয়, জাহান্নামের আগুন তার পদদ্বয় স্পর্শ করবে না। (বুখারী)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَن أبي عَبْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا اغْبَرَّتْ قَدَمَا عَبْدٍ فِي سَبِيلِ الله فَتَمَسهُ النَّار» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে গিয়ে পায়ে যে ধূলোবালি লেগে যায়, এর বিনিময়েও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীর জন্য রয়েছে মর্যাদা ও সম্মান। এ সংক্রান্ত ফযীলত সম্পর্কেই আলোচ্য হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে।
‘‘আল্লাহর রাস্তায় কোনো বান্দার দুই পা ধূলোমলিন হলে জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না’’ এ বাক্যে ‘‘আল্লাহর রাস্তা’’ বলতে বুঝানো হয়েছে ‘ইলম অর্জন, জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য যাওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, জানাযায় উপস্থিত হওয়া ইত্যাদি। তবে ব্যবহারিক অর্থে এ ক্ষেত্রে জিহাদের পথ উদ্দেশ্য। আবার কারো কারো মতে এ ক্ষেত্রে হজে/হজ্জের জন্য পথ চলা উদ্দেশ্য। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
জিহাদে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির শরীরে উল্লেখিত ধূলোবালির উপস্থিতি থাকলে জাহান্নামের আগুনের স্পর্শ অস্তিত্বহীন হবে- অর্থাৎ স্পর্শ করতে পারবে না। এ কথার মাধ্যমে আল্লাহর রাস্তায় অর্থ ও শ্রম ব্যয় করার অত্যধিক মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা পায়ে ধূলোর স্পর্শ লাগার কারণে যদি তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়, তাহলে যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং নিজের সমুদয় শক্তি সামর্থ্য এ পথে ব্যয় করবে তার মর্যাদা কতই না উঁচু। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৮১১)