হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৭৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা

৩৭৪৬-[২] খাওলাতাল আনসারিয়্যাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিছু সংখ্যক মানুষ আল্লাহ তা’আলার (যাকাত, বায়তুল মাল বা গনীমাতের) সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে থাকে। কিয়ামত দিবসে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত। (বুখারী)[1]

بَابُ رِزْقِ الْوُلَاةِ وَهَدَايَاهُمْ

وَعَن خَوْلةَ الْأَنْصَارِيَّةِ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللَّهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি মাল-সম্পদ অপব্যবহার করার ক্ষেত্রে চরম সতর্কবাণী প্রদান করে। হাদীসটির রাবী মহিলা সাহাবী খাওলাহ্ তার পরিচিতি হলো সামির আল্ আনসারী-এর মেয়ে। কেউ কেউ বলেছেন তিনি খাওলাহ্ বিনতু আল্ কয়স তিনি বানী মালিক বিন আন্ নাজ্জার গ্রোত্রের আর সামির হলো কায়স-এর উপাধি। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ কথা হলো, এরা দু’জন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি।

অত্র হাদীসে যাকাতের মাল ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যতীত কেউ গ্রহণ করলে তার প্রতি কাঠোর হুশিয়ারী উল্লেখ করতঃ বলা হয়েছে, তার জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রয়েছে। পবিত্র কুরআনেও এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘‘তাদের ছেড়ে দিন তারা এভাবে সম্পদের অপব্যবহার করুক, এরপর তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম’’- (সূরা আল আন্‘আম ৬ : ৯১)।

শিক্ষণীয় হলো, বায়তুল মাল তথা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যাকাত, খারাজ, জিয্ইয়াহ্, গনীমাত ইত্যাদি কোনো মালই যা জনগণের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত তা অন্যায়ভাবে ভোগ-দখল করা সম্পূর্ণ হারাম। এখানে অন্যায়ভাবে বলতে যেটুকু প্রাপ্য তার চেয়ে অধিক গ্রহণ করা। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩১১৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)