পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৯-[১২] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুকাতাব (বিনিময়কৃত চুক্তিবদ্ধ গোলাম) সেই পর্যন্ত গোলাম থাকবে, যে পর্যন্ত তার ওপর শর্তকৃত একটি দিরহামও অবশিষ্ট থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ مُكَاتبَته دِرْهَم» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: ইবনুত্ তীন বলেনঃ মুকাতাবাহ্ ইসলামের পূর্বকাল হতে পরিচিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টিকে অটুট রেখেছেন (আর মুকাতাবাহ্ হলো যেই ক্রীতদাস একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিজের মুক্তির জন্য তার প্রভুর সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এমন ক্রীতদাসকে ইসলামী পরিভাষায় বলা হয় মুকাতাব)। ইবনু ‘উমার বলেন, মুকাতাবাহ্ হলো এমন দাস যার ওপর লিখিত চুক্তির অংশ এখনও অবশিষ্ট হয়। অনুরূপ সংজ্ঞা ইবনুয্ যুবায়র ও সুলায়মান ইবনু ইয়াসার দিয়েছেন।
عَنْ سُلَيْمَان بْن يَسَار قَالَ اِسْتَأْذَنَتْ عَلٰى عَائِشَة فَعَرَفَتْ صَوْتِي فَقَالَتْ سُلَيْمَان فَقُلْت سُلَيْمَان فَقَالَتْ أَدَّيْت مَا بَقِيَ عَلَيْك مِنْ كِتَابَتك قُلْت نَعَمْ إِلَّا شَيْئًا يَسِيرًا
সুলায়মান ইবনু ইয়াসার বলেনঃ আমি অনুমতি চাইলাম ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলায়মান? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি সুলায়মান। অতঃপর তিনি বললেন, তোমার চুক্তির কোনো অবশিষ্ট আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, সামান্য কিছু। তিনি বললেন, তুমি প্রবেশ কর কেননা তুমি এখনও দাস চুক্তিতে আবদ্ধ অংশ অবশিষ্ট রয়েছে। শাফি‘ঈ এবং সা‘ঈদ ইবনু মানসূর যায়দ বিন সাবিত হতে বর্ণিত, মুকাতাব হলো এমন দাস যার ওপর দিরহাম অবশিষ্ট রয়েছে।
খত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীসটি জোরালো দলীল যারা মনে করেন মুকাতাব বিক্রি করা বৈধ।
কেননা যখন কেউ দাস হিসেবে থাকে সে মূলত দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ আর যখন প্রভুর মালিকানায় অবশিষ্ট রয়েছে তখন অন্যের জন্য মালিকানা হতে পারে না। হাদীসে দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় মুকাতাব যদি মারা যায় তার পূর্ণ অংশ আদায়ের পূর্বে তাহলে সে মুক্তির আওতায় আসবে না তথা ক্রীতদাসের হুকুমেই থাকবে। কেননা সে মৃত্যুবরণ করেছে দাস অবস্থায় মৃতের পরে সে স্বাধীন হবে না এবং তার সম্পদ তার মুনীব গ্রহণ করবে। আর তার সন্তানেরা তার মুনীবেরই দাস হিসেবে থাকবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯২১)