পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৫৮-[১৯] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুত্’আহ্ বিবাহ ইসলামের প্রথম (প্রাথমিক) যুগে ছিল। কেউ যখন কোনো অপরিচিত অবস্থায় দূরবর্তী স্থানে যেত, অতঃপর যতদিন তার ধারণায় সে স্থানে থাকবে, তত দিনের জন্য সে বিয়ে করে নিত। আর উক্ত স্ত্রীলোকটি তার আসবাবপত্র দেখাশুনা করত ও তার খাবার তৈরি করত। এভাবে যখন এ আয়াত নাযিল হলো, অর্থাৎ- ’’যারা তাদের স্ত্রীগণ ও ক্রীতদাসীগণ ব্যতীত নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে’’- (সূরা আল মু’মিনূন ২৩ : ৬; সূরা আল মা’আ-রিজ ৭০ : ৩০)। ইবনু ’আব্বাস বলেন, তখন এই দু’ শ্রেণীর নারীগণ ব্যতীত সকল লজ্জাস্থান হারাম হয়ে গেল। (তিরমিযী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّمَا كَانَتِ الْمُتْعَةُ فِي أول الْإِسْلَام كَانَ الرجل يقدم الْبَلدة لَيْسَ لَهُ بِهَا مَعْرِفَةٌ فَيَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ بِقَدْرِ مَا يرى أَنَّهُ يُقِيمُ فَتَحْفَظُ لَهُ مَتَاعَهُ وَتُصْلِحُ لَهُ شَيَّهُ حَتَّى إِذَا نَزَلَتِ الْآيَةُ (إِلَّا عَلَى أَزوَاجهم أَو مَا ملكت أَيْمَانهم) قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَكُلُّ فَرْجٍ سِوَاهُمَا فَهُوَ حرَام. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এ আয়াতে কারীমা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাদের গুণ বর্ণনা করতে চেয়েছেন যে, নিশ্চয় তারা সকলেই স্ত্রী কিংবা দাসী ব্যতীত বহুগামিতা থেকে নিজেদের লজ্জাস্থানকে হিফাযাত করবে। আর মুত্‘আহ্ এটি কোনো বিবাহ নয়, কারণ সকলের ঐকমত্য রয়েছে যে, এতে কোনো মীরাস নেই। আবার এটি দাসত্বও নয়। বরং এটি নির্দিষ্ট দিনের জন্য মহিলার নিজের পারিশ্রমিক, সুতরাং এটি কোনো বিধানের আওতায় পড়বে না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১১২২)