পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১৩২-[৭] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতিরেকে যে নারীর বিয়ে হয়, তারা ব্যভিচারিণী। (রাবী বলেন) তবে উল্লেখিত ইবনু ’আব্বাস -এর হাদীসটি মাওকূফ (অর্থাৎ- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী নয়)। (তিরমিযী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْبَغَايَا اللَّاتِي يُنْكِحْنَ أَنْفُسَهُنَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ» . وَالْأَصَحُّ أَنَّهُ مَوْقُوفٌ عَلَى ابْنِ عَبَّاس. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এখানে বাইয়িনা বা প্রমাণ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সাক্ষী। সাক্ষী ছাড়া যে মহিলা নিজেকে বিবাহ দিবে সে যিনাকারিণী হবে। আর সাহাবীগণ ও তাবি‘ঈনগণসহ অন্যান্য বিদ্বানদের এর উপর ‘আমল রয়েছে। তারা বলেছেন, সাক্ষী ছাড়া কোনো বিবাহ হবে না। আর এ মর্মে তাদের মাঝে কোনো মতবিরোধ নেই। তবে কুফাবাসীর অধিকাংশ ‘উলামাহ্গণ বলেছেন, বিবাহের সময় দু’ সাক্ষীর একত্র সাক্ষী ছাড়া বিবাহ বৈধ নয়। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক মদীনার ‘উলামাগণ বর্ণনা করেছেন যে, যদি বিবাহ ঘটা করে হয়, তবে একজনের পর অপর সাক্ষী দিলে বিবাহ বিশুদ্ধ হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১১০৩)