হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ

২৯৪১-[৪] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করতে ও কারো নাক-কান কাটতে নিষেধ করছেন। (বুখারী)[1]

بَابُ الْغَصْبِ وَالْعَارِيَةِ

وَعَن عبد الله بن يزِيد عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ نهى عَن النهبة والمثلة. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: مُثْلَةٌ (عَنِ النُّهْبَةِ وَالْمُثْلَةِ) বলা হয় জীবিতাবস্থায় প্রাণীর কোনো কোনো অংশ কেটে ফেলা। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৫১৬)

অতঃপর ইমাম বুখারী (لا يزني الزاني حين يزني وهو مؤمن) ‘‘যিনাকারী যখন যিনা করে তখন সে মু’মিন থাকে এমন না’’ এ হাদীস উল্লেখ করেছেন। আর এ হাদীসে আছে,
وَلَا ينتهب نهبة ترفع النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ অর্থাৎ- ‘‘ছিনতাইকারী যখন ছিনতাই করে, আর মানুষের দৃষ্টি তার দিকে উঠে থাকে, এমতাবস্থায় সে মু’মিন থাকতে পারে না।’’

এ থেকে অনুমতি নেয়ার শর্তারোপের উপকারিতা লাভ করা যাচ্ছে। কেননা ছিনতাইকারীর দিকে দৃষ্টি উঠানো স্বভাবত অনুমতি না নেয়ার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৪৭৪)

(نهبة) ব্যাখ্যাতে আছে- প্রকাশ্যে জোর করে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয়া। আহমাদে হুমাম-এর বর্ণনাতে এসেছে- দৃষ্টি উঠানো দ্বারা মূলত যাদের থেকে লুণ্ঠন করা হয় তাদের অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, কেননা তাদের কাছ থেকে যারা লুণ্ঠন করে তাদের দিকে তারা তাকিয়ে থাকে এবং তাতে বাধা দিতে সক্ষম হয় না, যদিও তার কাছে তারা বিনয় প্রকাশ করে। এর দ্বারা আড়াল না হওয়া বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে, তখন এটা লুণ্ঠনের আবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্যে পরিণত হবে, এটা চুরি এবং ছোঁ মেরে নেয়ার বিপরীত। কেননা তা গোপনে হয়ে থাকে, ছিনতাই করা সর্বাধিক গুরুতর, কারণ এতে আছে অধিক জুলুম এবং পরোয়া না করা। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৭৭২)