পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৭-[৩৪] হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিষেধ করেছেন ঐ জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করতে যা আমার দখলে নেই। (তিরমিযী)[1]
তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী-এর আর এক বর্ণনায় আছে, রাবী বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কোনো ব্যক্তি এমন কোনো বস্তু আমার কাছে ক্রয় করতে চাইলো যা আমার কাছে নেই, আমি কি বাজার হতে তার জন্য তা কিনে আনবো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যা তোমার আয়ত্তে নেই, তা বিক্রি করো না।
وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَبِيعَ مَا ليسَ عندِي. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي رِوَايَةٍ لَهُ وَلِأَبِي دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ: قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ يَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيُرِيدُ مِنِّي الْبَيْعَ وَلَيْسَ عِنْدِي فَأَبْتَاعُ لَهُ مِنَ السُّوقِ قَالَ: «لَا تبِعْ مَا ليسَ عندَكَ»
ব্যাখ্যা: ‘‘যা তোমার হস্তগত নয় তা বিক্রি করার নয়’’ এর অর্থ হলো পালিয়ে যাওয়া দাস অন্যের নিকট বিক্রি করা, বিক্রয়যোগ্য বস্তু হস্তগত হওয়ার পূর্বেই বিক্রি করা, কিংবা অন্যের সম্পদ তার অনুমতি ছাড়াই বিক্রি করা। কারণ এতে জানা যায় না, মালিক বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে কিনা- এরূপ লেনদেন ফাসিদ বলে গণ্য হবে। ইমাম শাফি‘ঈ এমনটাই বলেছেন।
তবে একদল ‘উলামাগণ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে চুক্তি সংঘটিত হওয়া মালিকের অনুমতির উপরে নির্ভরশীল। এটা ইমাম মালিক, আসহাবে হানীফাহ্ ও ইমাম আহমাদ (রহঃ) প্রমুখগণের কথা। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫০০)