পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭২-[১৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দেহের মাংস/মাংস হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (আহমাদ, দারিমী, বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
ব্যাখ্যা: (لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنَ السُّحْتِ) ‘‘হারাম মাল ভক্ষণ করে শরীরে যে গোশত গজিয়েছে তা জান্নাতে যাবে না।’’ অর্থাৎ হারাম ভক্ষণকারী ব্যক্তি প্রথমবারেই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। বরং হারাম ভক্ষণ করার শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যেতে পারবে। তবে যদি তাওবাহ্ করে অথবা তাওবাহ্ ব্যতীতই গুনাহ ক্ষমা করা হয় অথবা কারো সুপারিশ মঞ্জুর করা, তবে তা ভিন্ন কথা। আর যদি হারামকে হারাম মনে না করে তা হালাল মনে করে যেমন সুদকে হারাম মনে না করে তা হালাল মনে করে, তাহলে সে কক্ষনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কেননা তা কুফরী। আর কাফির চির জাহান্নামী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)