পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য
মহান আল্লাহ বলেছেন,
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَـحْزَنُوْنَ، الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوا يَتَّقُوْنَ، لَهُمُ البُشْرٰى فِـيْ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِـي الْاَخِرَةِ لَا تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللهِ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ
অর্থাৎ, মনে রেখো যে, আল্লাহর বন্ধুদের না কোন আশংকা আছে আর না তারা বিষণ্ণ হবে। তারা হচ্ছে সেই লোক যারা ঈমান এনে তাক্বওয়া (সাবধানতা, পরহেযগারী) অবলম্বন ক’রে থাকে। তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে এবং পরকালেও; আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তন নেই; এটাই হচ্ছে বিরাট সফলতা। (সূরা ইউনুস ৬২-৬৪) তিনি আরো বলেন,
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِـجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا، فَكُلِـيْ وَاشْرَبِـيْ
অর্থাৎ, তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কা- হিলিয়ে দাও; ওটা তোমার সামনে সদ্যপক্ক তাজা খেজুর ফেলতে থাকবে। সুতরাং আহার কর, পান কর---। (সূরা মারয়্যাম ২৫-২৬) তিনি আরো বলেছেন,
كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكرِيّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنّٰـى لَكِ هٰذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللهِ إِنَّ اللهَ يَرْزُقُ مَنْ يَّشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
অর্থাৎ, যখনই যাকারিয়া মিহরাবে (কক্ষে) তার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখনই তার নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, ’হে মারয়্যাম! এসব তুমি কোথা থেকে পেলে?’ সে বলত, ’তা আল্লাহর কাছ থেকে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপর্যাপ্ত জীবিকা দান ক’রে থাকেন।’ (সূরা আলে ইমরান ৩৭)
তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,
وَإِذِ اعْتَزَلْتُمُوْهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ إِلاَّ اللهَ فَأْوُوْا إِلٰـى الْكَهْفِ يَنْشُرْ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ رَّحْمَتِهِ وَيُهَيِّـيءْ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ مِرْفَقًا وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَتْ تَزَاوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِيْنِ وَإِذَا غَرَبَتْ تَقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ
অর্থাৎ, তোমরা যখন তাদের ও তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর; তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য তাঁর দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করবার ব্যবস্থা করবেন। তুমি দেখলে দেখতে, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার ডান দিকে হেলে অতিক্রম করছে এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করছে বাম পাশ দিয়ে---। (সূরা কাহাফ ১৬-১৭)
(২৮৯৮) আবূ মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত, ’আসহাবে সুফ্ফাহ’ (তৎকালীন মসজিদে নববীতে একটি ছাউনিবিশিষ্ট ঘর ছিল। সেখানে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তত্ত্বাবধানে কিছু সাহাবা আশ্রয় গ্রহণ করতেন ও বসবাস করতেন। তাঁরা) গরীব মানুষ ছিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যার কাছে দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাদের মধ্য থেকে) তৃতীয় জনকে সাথে নিয়ে যায়। আর যার নিকট চারজনের আহারের ব্যবস্থা আছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠজনকে সাথে নিয়ে যায়।’’ আবূ বকর (রাঃ) তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজনকে সাথে নিয়ে গেলেন।
আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং এশার নামায পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এশার নামাযের পর তিনি পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে ফিরে আসেন এবং আল্লাহর ইচ্ছামত রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, ’বাইরে কিসে আপনাকে আটকে রেখেছিল?’ তিনি বললেন, ’তুমি এখনো তাঁদেরকে খাবার দাওনি?’ স্ত্রী বললেন, ’আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাজি হলেন না। তাঁদের সামনে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা তা খাননি।’ আব্দুর রহমান (রাঃ) বলেন, (পিতার তিরস্কারের ভয়ে) আমি লুকিয়ে গেলাম। তিনি (রাগাম্বিত হয়ে) বলে উঠলেন, ’ওরে মূর্খ!’ অতঃপর নাক কাটা ইত্যাদি বলে গালাগালি করলেন এবং (মেহমানদের উদ্দেশ্যে) বললেন, ’আপনারা স্বচ্ছন্দে খান, আল্লাহর কসম! আমি মোটেই খাব না।’
আব্দুর রহমান (রাঃ) বলেন, ’আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা (খাদ্যগ্রাস) উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ’সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ পূর্বের চেয়ে বেশি খাবার রয়ে গেল।’ আবূ বকর (রাঃ) খাবারের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কী?’ তিনি বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এ তো পূর্বের চেয়ে তিনগুণ বেশি!’ সুতরাং আবূ বকর (রাঃ)ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, ’আমার (খাব না বলে) সে কসম শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’ তারপর তিনি আরো খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে নিয়ে গেলেন। ভোর পর্যন্ত সে খাবার তাঁর নিকটেই ছিল।
এদিকে আমাদের এবং অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে চুক্তি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে যায়। (এবং তারা মদীনায় আসে।) অতঃপর আমরা তাদেরকে তাদের বারো জনের নেতৃত্বে ভাগ ক’রে দিই। প্রত্যেকের সাথেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সাথে কতজন ছিল তা আল্লাহই বেশি জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য আহার করে।
অন্য বর্ণনায় আছে, আবূ বকর ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন, তা দেখে তাঁর স্ত্রীও ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন। আর তা দেখে মেহমানরাও তিনি সঙ্গে না খেলে ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন! আবূ বকর বললেন, ’এ সব (কসম) শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খাবার আনতে বলে নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। তাঁরা যখনই লুকমা (খাদ্যগ্রাস) উঠিয়ে খাচ্ছিলেন, তখনই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। আবূ বকর (রাঃ) (স্ত্রীকে) বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কী?’ স্ত্রী বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এখন এ তো খেতে শুরু করার আগের চেয়ে অধিক বেশি!’ সুতরাং সকলেই খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে পাঠিয়ে দিলেন। আব্দুর রহমান বলেন, ’তিনি তা হতে খেলেন।’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আবূ বকর আব্দুর রহমানকে বললেন, ’তোমার মেহমান নাও। (তুমি তাদের খাতির কর) আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যাচ্ছি। আমার ফিরে আসার আগে আগেই তুমি (খাইয়ে) তাঁদের খাতির সম্পন্ন করো।’ সুতরাং আব্দুর রহমান তাঁর নিকট যে খাবার ছিল, তা নিয়ে তাঁদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’আপনারা খান।’ কিন্তু মেহমানরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা কোথায়?’ তিনি বললেন, ’আপনারা খান।’ তাঁরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা না আসা পর্যন্ত আমরা খাব না।’ আব্দুর রহমান বললেন, ’আপনারা আমাদের পক্ষ থেকে মেহমাননেওয়াযী গ্রহণ করুন। কারণ তিনি এসে যদি দেখেন যে, আপনারা খাননি, তাহলে অবশ্যই আমরা তাঁর নিকট থেকে (বড় ভৎর্সনা) পাব।’ কিন্তু তাঁরা (খেতে) অস্বীকার করলেন।
(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি বুঝে নিলাম যে, তিনি আমার উপর খাপ্পা হবেন। অতঃপর তিনি এলে আমি তাঁর নিকট থেকে সরে গেলাম। তিনি বললেন, ’কী করেছ তোমরা?’ তাঁরা তাঁকে ব্যাপারটা খুলে বললেন। অতঃপর তিনি ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান!’ আব্দুর রহমান নিরুত্তর থাকলেন। তিনি আবার ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান?’ কিন্তু তখনও তিনি নীরব থাকলেন। তারপর আবার বললেন, ’এ বেওকুফ! আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, যদি তুমি আমার ডাক শুনতে পাচ্ছ, তাহলে এসে যাও।’
(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি (বাধ্য হয়ে) বের হয়ে এলাম। বললাম, ’আপনি আপনার মেহমানদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, (আমি তাঁদেরকে খেতে দিয়েছিলাম কি না?)’ তাঁরা বললেন, ’ও সত্যই বলেছে। ও আমাদের কাছে খাবার নিয়ে এসেছিল। (আমরাই আপনার অপেক্ষায় খাইনি।)’ আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ’তোমরা আমার অপেক্ষা ক’রে বসে আছ। কিন্তু আল্লাহর কসম! আজ রাতে আমি আহার করব না।’ তাঁরা বললেন, ’আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না।’ তিনি বললেন, ’ধিক্কার তোমাদের প্রতি! তোমাদের কি হয়েছে যে, আমাদের পক্ষ থেকে মেহমাননেওয়াযী গ্রহণ করবে না?’ (অতঃপর আব্দুর রহমানের উদ্দেশ্য বললেন,) ’নিয়ে এস তোমার খাবার।’ তিনি খাবার নিয়ে এলে আবূ বকর তাতে হাত রেখে বললেন, ’বিস্মিল্লাহ। প্রথম (রাগের অবস্থায় কসম) ছিল শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও আহার করলেন।
وَ عَنْ أَبِـيْ مُحَمَّدٍ عَبدِ الرَّحْمَانِ بنِ أَبِـيْ بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفّةِ كَانُوا أُنَاساً فُقَرَاءَ وَأَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ مَرَّةً مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بثَالِثٍ وَمنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ أَوْ كَمَا قَالَ وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ النَّبِيِّ ﷺ بعَشَرَةٍ وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيّ ﷺ ثُمَّ لَبِثَ حَتّٰـى صَلَّى العِشَاءَ ثُمَّ رَجَعَ فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللهُ قَالَتِ امْرَأتُهُ : مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ ؟ قَالَ : أَوَمَا عَشَّيْتِهمْ ؟ قَالَتْ: أَبَوْا حَتّٰـى تَجِيءَ وَقَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ قَالَ : فَذَهَبتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ فَقَالَ : يَا غُنْثَرُ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ : كُلُوا لاَ هَنِيئاً وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَداً قَالَ : وَايْمُ اللهِ مَا كُنَّا نَأخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسفَلِهَا أَكْثَرَ مِنهَا حَتّٰـى شَبِعُوا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبلَ ذٰلِكَ فَنَظَرَ إِلَيهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لاِمرَأَتِهِ : يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هٰذَا ؟ قَالَتْ : لاَ وَقُرَّةِ عَينِيْ لَهِيَ الآنَ أَكثَرُ مِنهَا قَبلَ ذٰلِكَ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ فَأَكَلَ مِنهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ : إنَّمَا كَانَ ذٰلِكَ مِنَ الشَّيطَانِ يَعنِيْ : يَمِينَهُ ثُمَّ أَكَلَ مِنهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ، فَمَضَى الأَجَلُ فَتَفَرَّقْنَا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ وَفِي رِوَايةٍ : فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَطْعَمُهُ فَحَلَفَتِ المَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ فَحَلَفَ الضَّيْفُ - أَو الأَضْيَافُ - أَنْ لاَ يَطْعَمُهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتّٰـى يَطْعَمَهُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأكَلَ وَأَكَلُوا فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلاَّ رَبَتْ مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا فَقَالَ : يَا أُخْتَ بَني فِرَاسٍ مَا هٰذَا ؟ فَقَالَتْ : وَقُرَّةِ عَيْنِي إنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ أنْ نَأكُلَ فَأكَلُوا وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبيِّ ﷺ فَذَكَرَ أنَّهُ أكَلَ مِنْهَا وَفِي رِوايَةٍ : إِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَانِ : دُونَكَ أَضْيَافَكَ فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ إِلَى النَّبيِّ ﷺ فَافْرُغْ مِنْ قِرَاهُم قَبْلَ أَنْ أَجِيءَ فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمانِ فَأَتَاهُمْ بِمَا عِنْدَهُ فَقَالَ : اِطْعَمُوا ؛ فَقَالَوا : أَينَ رَبُّ مَنْزِلِنا ؟ قَالَ : اِطْعَمُوا قَالَوا : مَا نحنُ بِآكِلِينَ حَتّٰـى يَجِيءَ رَبُّ مَنْزِلِنَا قَالَ : اقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ فَإِنَّهُ إِنْ جَاءَ وَلَمْ تَطْعَمُوا لَنَلْقَيَنَّ مِنْهُ فَأبَوْا فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يَجِدُ عَلَيَّ فَلَمَّا جَاءَ تَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ : مَا صَنَعْتُمْ ؟ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ : يَا عَبْدَ الرَّحمانِ فَسَكَتُّ : ثُمَّ قَالَ : يَا عَبْدَ الرَّحْمانِ فَسَكَتُّ فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوتِي لَمَا جِئْتَ فَخَرَجْتُ فَقُلْتُ : سَلْ أَضْيَافَكَ فَقَالَوا : صَدَقَ أَتَانَا بِهِ فَقَالَ : إِنَّمَا انْتَظَرْتُمُونِي وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ فَقَالَ الآخَرُونَ : وَاللهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتّٰـى تَطْعَمَهُ فَقَالَ : وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ لاَ تَقْبَلُونَ عَنَّا قِرَاكُمْ ؟ هَاتِ طَعَامَكَ، فَجَاءَ بِهِ فَوَضَعَ يَدَهُ فَقَالَ: بِسْمِ اللهِ الأُولَى مِنَ الشَّيْطَانِ فَأَكَلَ وَأَكَلُوا متفق عَلَيْهِ