পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর মু’জিযা
(২৮১৩) জাবের (রাঃ) বলেন, ’একটি খেজুর গাছের গুঁড়ি (খুঁটি) ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাহ দানকালে দাঁড়িয়ে তাতে হেলান দিতেন। তারপর যখন (কাঠের) মিম্বর (তৈরী ক’রে) রাখা হল, তখন আমরা দশ মাসের গাভিন উটনীর শব্দের ন্যায় গুঁড়িটির (কান্নার) শব্দ শুনতে পেলাম। পরিশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মিম্বর হতে) নেমে নিজ হাত তার উপর রাখলে সে শান্ত হল।’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’যখন জুমআর দিন এল এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরের উপর বসলেন, তখন খেজুরের যে গুঁড়ির পাশে তিনি খুতবা দিতেন, তা এমন চিল্লিয়ে কেঁদে উঠল যে, তা ফেটে যাবার উপক্রম হয়ে পড়ল! সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মিম্বর থেকে) নেমে তাকে ধরে নিজ বুকে জড়ালেন। তখন সে সেই শিশুর মত কাঁদতে লাগল, যে শিশুকে (আদর ক’রে) চুপ করানো হয়, (তাকে চুপ করানো হল এবং) পরিশেষে সে প্রকৃতিস্থ হল।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এর কান্নার কারণ হচ্ছে এই যে, এ (কাছে থেকে) খুতবা শুনত (যা থেকে সে এখন বঞ্চিত হয়ে পড়েছে)।
عن جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَانَ جِذْعٌ يَقُومُ إِلَيْهِ النَّبِيُّ ﷺ فَلَمَّا وُضِعَ لَهُ الْمِنْبَرُ سَمِعْنَا لِلْجِذْعِ مِثْلَ أَصْوَاتِ الْعِشَارِ حَتّٰـى نَزَلَ النَّبِيُّ ﷺ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وفي رواية: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ قَعَدَ النَّبِيُّ ﷺ عَلَى الْمِنْبَرِ الَّذِي صُنِعَ فَصَاحَتْ النَّخْلَةُ الَّتِي كَانَ يَخْطُبُ عِنْدَهَا حَتّٰـى كَادَتْ تَنْشَقُّ فَنَزَلَ النَّبِيُّ ﷺ حَتّٰـى أَخَذَهَا فَضَمَّهَا إِلَيْهِ فَجَعَلَتْ تَئِنُّ أَنِينَ الصَّبِيِّ الَّذِي يُسَكَّتُ حَتّٰـى اسْتَقَرَّتْ قَالَ بَكَتْ عَلَى مَا كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ الذِّكْرِ