হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৬১২

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

(২৬১২) আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন, মদীনার আনসারদের এক লোকের বাড়িতে একটি সেচক উট ছিল। হঠাৎ করে সে তার পিঠে কাউকে চড়তে দিচ্ছিল না। সে বাড়ির লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ’আমাদের একটি উট আছে, তার দ্বারা আমরা পানি তুলে জমি সেচ করি। এখন তাকে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে গেছে। সে আমাদেরকে তার পিঠেও চড়তে দেয় না। ক্ষেতের ফসল ও খেজুর গাছে সেচ দেওয়ার সময় হয়েছে। (কী করা যায়?)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে বললেন, ’’চলো দেখে আসি।’’ সুতরাং তাঁরা গিয়ে বাগানে প্রবেশ করলেন। উটটি তার এক প্রান্তে ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে অগ্রসর হলেন। লোকেরা বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! ও এখন কুকুরের মতো হয়ে আছে। আমাদের ভয় হচ্ছে, ও আপনাকে আক্রমণ করবে।’ তিনি বললেন, ’’ও আমার কোন ক্ষতি করবে না।’’

সুতরাং উটটি যখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকিয়ে দেখল, তখন তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে তাঁর সামনে সিজদায় পতিত হল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কপালে ধরলে সে সবচেয়ে শান্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি তাকে কাজে প্রবেশ করালেন।

এ ঘটনা দর্শন করে সাহাবাগণ তাঁকে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! এ একটি পশু, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, সে আপনাকে সিজদা করছে! আর আমরা তো জ্ঞান-বুদ্ধি রাখি। সুতরাং আমরা আপনাকে সিজদা করার বেশি হকদার।’

তিনি বললেন, ’’কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত নয়। কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত হলে আমি মহিলাকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। যেহেতু তার উপর স্বামীর বিশাল অধিকার রয়েছে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, স্বামীর পা থেকে মাথার সিঁথি পর্যন্ত যদি এমন ঘা থাকে, যাতে রক্ত-পুঁজ ঝরে পড়ছে, অতঃপর তা যদি স্ত্রী চাঁটে, তবুও তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না।

عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ بَيْتٍ مِنْ الْأَنْصَارِ لَهُمْ جَمَلٌ يَسْنُونَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْجَمَلَ اسْتُصْعِبَ عَلَيْهِمْ فَمَنَعَهُمْ ظَهْرَهُ وَإِنَّ الْأَنْصَارَ جَاءُوا إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالُوا إِنَّهُ كَانَ لَنَا جَمَلٌ نُسْنِي عَلَيْهِ وَإِنَّهُ اسْتُصْعِبَ عَلَيْنَا وَمَنَعَنَا ظَهْرَهُ وَقَدْ عَطِشَ الزَّرْعُ وَالنَّخْلُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لِأَصْحَابِهِ قُومُوا فَقَامُوا فَدَخَلَ الْحَائِطَ وَالْجَمَلُ فِي نَاحِيَةٍ فَمَشَى النَّبِيُّ ﷺ نَحْوَهُ فَقَالَتْ الْأَنْصَارُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّهُ قَدْ صَارَ مِثْلَ الْكَلْبِ الْكَلِبِ وَإِنَّا نَخَافُ عَلَيْكَ صَوْلَتَهُ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيَّ مِنْهُ بَأْسٌ فَلَمَّا نَظَرَ الْجَمَلُ إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَقْبَلَ نَحْوَهُ حَتّٰـى خَرَّ سَاجِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِنَاصِيَتِهِ أَذَلَّ مَا كَانَتْ قَطُّ حَتّٰـى أَدْخَلَهُ فِي الْعَمَلِ فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذِهِ بَهِيمَةٌ لَا تَعْقِلُ تَسْجُدُ لَكَ وَنَحْنُ نَعْقِلُ فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ فَقَالَ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ وَلَوْ صَلَحَ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا مِنْ عِظَمِ حَقِّهِ عَلَيْهَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ مِنْ قَدَمِهِ إِلٰـى مَفْرِقِ رَأْسِهِ قُرْحَةً تَنْبَجِسُ بِالْقَيْحِ وَالصَّدِيدِ ثُمَّ اسْتَقْبَلَتْهُ فَلَحَسَتْهُ مَا أَدَّتْ حَقَّهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ