হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৫৪

পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

(২৫৪) আবূ সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলেন এবং আমরা তাঁর আশেপাশে বসলাম। অতঃপর তিনি বললেন, আমি আমার পরে তোমাদের উপর যে জিনিসের আশঙ্কা করছি তা হলো, দুনিয়ার চাকচিক্য ও শোভা-সৌন্দর্য যা তোমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তখন একজন সাহাবী বলে উঠলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! কল্যাণ কি কখনো অকল্যাণ নিয়ে আসে?’ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। ঐ লোকটিকে তখন বলা হলো, ’কি ব্যাপার তোমার, তুমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলছো, কিন্তু তিনি তো তোমার সাথে কথা বলছেন না?’ অতঃপর আমরা দেখলাম যে, তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) উপর অহী অবতীর্ণ হচ্ছে।

(অহী নাযিল শেষ হলে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় (মুখমণ্ডল হতে) ঘাম মুছে বললেন, প্রশ্নকারী কোথায়? তিনি যেন তার প্রশংসাই করলেন। তারপর বললেন, কল্যাণ কখনো অকল্যাণ নিয়ে আসে না। তবে নদী-নালা যেসব (উদ্ভিদ) উৎপন্ন করে, তা (অপরিমিত ভোজনে পশুর) মৃত্যু ঘটায় অথবা মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। পক্ষান্তরে যে তৃণভোজী পশু তা ভক্ষণ করে এবং উদর পূর্ণ হলে সূর্যের দিকে মুখ করে (জাবর কাটে আর) মলমূত্র ত্যাগ করে এবং পুনরায় চরতে শুরু করে (তার ক্ষতি করে না)। এ দুনিয়ার ধন-সম্পদ আকর্ষণীয় ও সুমিষ্ট এবং ঐ ধন মুসলিমের কতই উত্তম সাথী, যা থেকে সে দরিদ্র, অনাথ এবং পথচারীকে দান করে।

عَن أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ جَلَسَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَى الْمِنْبَرِ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ فَقَالَ إِنَّ مِمَّا أَخَافُ عَلَيْكُمْ بَعْدِى مَا يُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا فَقَالَ رَجُلٌ أَوَيَأْتِى الْخَيْرُ بِالشَّرِّ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ فَسَكَتَ عَنهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَقِيلَ لَهُ مَا شَأْنُكَ تُكَلِّمُ رَسُولَ اللهِ ﷺ وَلاَ يُكَلِّمُكَ قَالَ وَرُئِينَا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ يَمْسَحُ عَنهُ الرُّحَضَاءَ وَقَالَ إِنَّ هَذَا السَّائِلَ - وَكَأَنَّهُ حَمِدَهُ فَقَالَ - إِنَّهُ لاَ يَأْتِى الْخَيْرُ بِالشَّرِّ وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ أَوْ يُلِمُّ إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرِ فَإِنَّهَا أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَلأَتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتْ عَيْنَ الشَّمْسِ فَثَلَطَتْ وَبَالَتْ ثُمَّ رَتَعَتْ وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ وَنِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ هُوَ لِمَنْ أَعْطَى مِنْهُ الْمِسْكِينَ وَالْيَتِيمَ وَابْنَ السَّبِيلِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ