পরিচ্ছেদঃ ২৯৯. সূর্য উপরে থাকতে দু’ রাক‘আত সালাতের অনুমতি প্রসঙ্গে
১২৭৭। ’আমর ইবনু আনবাসাহ আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! রাতের কোন অংশ অধিক শ্রবণীয় (অর্থাৎ আল্লাহ দু’আ বেশি কবুল করেন)? তিনি বলেনঃ রাতের শেষাংশ, এ সময় যতটুকু ইচ্ছা সালাত আদায় করবে। কেননা এ সময়ে মালায়িকাহ (ফিরিশতাগণ) এসে ফজরের সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন এবং লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সালাত হতে বিরত থাকবে, যতক্ষণ না তা এক কিংবা দুই তীর পরিমাণ উপরে উঠে। কারণ সূর্য উদিত হয় শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে। আর কাফিররা এ সময় তার পূজা করে থাকে। এরপর তীরের ছায়া ঠিক থাকা (দ্বি প্রহরের পূর্ব) পর্যন্ত যত ইচ্ছা সালাত আদায় করবে, এ সময়ের সালাত সম্পর্কে ফিরিশতাগণ সাক্ষ্য দিয়ে থাকেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেন।
অতঃপর সালাত হতে বিরত থাকবে, কেননা এ সময় জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় এবং তার সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয়। যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়বে তখন যত ইচ্ছা সালাত আদায় করবে, কেননা ’আসরের সালাত পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যকার সালাত সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়া হয়। অতঃপর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সালাত হতে বিরত থাকবে, কেননা তা শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে অস্ত যায় এবং এ সময় কাফিররা তার উপাসনা করে থাকে। অতঃপর বর্ণনাকারী এ বিষয়ে দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
আল-’আব্বাস (রহঃ) বলেন, আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে আবূ সাল্লাম (রহঃ) আমার কাছে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে আমি অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল করেছি, সেজন্যে আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁরই কাছে তওবা করি।
সহীহ : মুসলিম, এ বাক্য বাদে (جوف الليل)।
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي سَلَامٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ قَالَ : قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! أَىُّ اللَّيْلِ أَسْمَعُ قَالَ " جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ، فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الصُّبْحَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، فَتَرْتَفِعَ قِيْسَ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ، وَتُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى يَعْدِلَ الرُّمْحُ ظِلَّهُ ثُمَّ أَقْصِرْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ وَتُفْتَحُ أَبْوَابُهَا فَإِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ، وَيُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ". وَقَصَّ حَدِيثًا طَوِيلاً قَالَ الْعَبَّاسُ : هَكَذَا حَدَّثَنِي أَبُو سَلَامٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ إِلَا أَنْ أُخْطِئَ شَيْئًا لَا أُرِيدُهُ فَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ . - صحيح : م، دون جملة (جوف الليل)
Narrated Amr ibn Anbasah as-Sulami:
I asked: Messenger of Allah, in which part of night the supplication is more likely to be accepted?
He replied: In the last part: Pray as much as you like, for the prayer is attended by the angels and it is recorded till you offer the dawn prayer; then stop praying when the sun is rising till it has reached the height of one or two lances, for it rises between the two horns of the Devil, and the infidels offer prayer for it (at that time). Then pray as much as you like, because the prayer is witnessed and recorded till the shadow of a lance be- comes equal to it. Then cease prayer, for at that time the Hell-fire is heated up and doors of Hell are opened.
When the sun declines, pray as much as you like, for the prayer is witnessed till you pray the afternoon prayer; then cease prayer till the sun sets, for it sets between the horns of the Devil, and (at that time) the infidels offer prayer for it. He narrated a lengthy tradition.
Abbas said: AbuSalam narrated this tradition in a similar manner from AbuUmamah. If I have made a mistake unintentionally, I beg pardon of Allah and repent to Him.