পরিচ্ছেদঃ ১০০. যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে
৬৮২। ওয়াবিসাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কাতারের পিছনে একাকী দাড়িঁয়ে সালাত আদায় করতে দেখে তাকে পুনরায় সালাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন।[1]
সহীহ।
[1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করা, হাঃ ২৩১, ইমাম তিরমিযী বলেন, ওয়াবিসার হাদীসটি হাসান), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ কোনো ব্যক্তির কাতারের পেছনে একাকী সালাত আদায় করা, হাঃ ১০০৪), দারিমী (১২৮৬), আহমাদ (৪/২২৮)।
মাসআলাহঃ কাতারের পিছনে কোনো ব্যক্তির একাকী সালাত আদায় প্রসঙ্গে
‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করতে দেখে তাকে পুনরায় সালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন।’’ হাদীসটি সহীহঃ এটি বর্ণনা করেছেন আবূ দাঊদ (৬৮২), তিরমিযী (১/৪৪৮), ত্বাহাভী ‘শমারহু মা‘আনী’ (১/২২৯), বায়হাক্বী (৩/১০৪), আহমাদ (৪/২২৮), ইবনু আবূ শায়বাহ (২/১৩/১), শু‘বাহ থেকে, এবং ইবনু আসাকির (১৭/৩৪৯)২), ‘আমর ইবনু মুররাহ সনদে...। হাদীসটি একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে এবং এর বহু মুতাবি‘আত বর্ণনা আছে। সেগুলোর আলোকে হাদীসটি সহীহ। (বিস্তারিত দেখুন, ইরওয়াউল গালীল ২/৩২৩-৩২৯)।
এ ধরণের হাদীস ভিন্ন সনদে অতিরিক্ত বাজে অংশ সংযোজনের দ্বারাও বর্ণিত হয়েছে। যা বর্ণনা করেছেন আবূ ইয়ালা ‘আল-মাকারিদ (৩/১৫/১) ও মুসনাদ (৯৬/১), বায়হাক্বী (৩/১০৫), আসসারিউর ইবনু ইসমাঈল থেকে, তিনি শা‘বী থেকে ওয়াবিসাহ সূত্রে। তিনি বলেনঃ ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করতে দেখে বললেনঃ হে একাকী সালাত আদায়কারী! তুমি কেন কাতারে মিলিত হলে না, অথবা তোমার পাশে কোনো ব্যক্তিকে টেনে নিলে না, যে তোমার সঙ্গে দাঁড়াতো। অতএব তুমি পুনরায় সালাত আদায় করো।’’
তিনি বলেনঃ ‘এতে সারিউর ইবনু ইসমাঈল একক হয়ে গেছেন এবং তিনি বর্ণনাকারী হিসেবে দুর্বল।
আলবানী বলেন, অনুরূপভাবে আল্লামা হাইসামী (রহঃ) ও (২/৯৬) সারিউরকে কেবল দুর্বল বলেছেন। হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বলেন, তিনি মাতরূক। আর এটাই সঠিক যে, তিনি খুবই দুর্বল। একদল হাদীস বিশারদ ইমামগণ তাকে স্পষ্টভাবে মাতরূক বলেছেন। কতিপয় ইমাম বলেছেন, খুবই দুর্বল, আর কতিপয় বলেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘‘এক ব্যক্তি কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করছিল। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পিছনের লোকদের তেমনই দেখতে পারতেন যেমন সামনের লোকদের দেখতে পেতেন। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে বললেনঃ তুমি কেন কাতারে প্রবেশ করলে না অথবা কোনো ব্যক্তিকে টেনে নিলে না, যাতে করে সে তোমার সাথে সালাত আদায় করে? অতএব তুমি তোমার সালাত পুনরায় আদায় করো।’’
এটি বর্ণনা করেছেন ইবনুল ‘আরাবী ‘মু‘জাম’ (ক্বাফ ১২২/১), আবূশ শায়খ ‘তারীখু আসবাহান’, আবূ নু‘আইম ‘আখবারু আসবাহান’ গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু আবদুওয়াইহ থেকে ক্বায়স ইবনু রাবী‘ সূত্রে।
আলবানী বলেন, এ সনদটি নিকৃষ্ট এবং হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল, যা শাহিদ হওয়ার যোগ্য নয়। এর সনদে ক্বায়স ইবনু রাবী‘ দুর্বল। হাফিয বলেছেন, ‘‘তিনি সত্যবাদী, কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তার মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে যায় এবং তার ছেলে হাদীসের মধ্যে এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটায় যা তার হাদীসের অংশ নয়। অতঃপর তিনি তাই বর্ণনা করতেন!’’ এর দ্বারাই হাফিয ‘আত-তালখীস’ গ্রন্থে (১২৫) হাদীসটিকে দোষযুক্ত বলেছেন। আমি (আলবানী) বলছি, ক্বায়স সূত্রে বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া ইবনু ‘আবদুওয়াইহ এর জন্য আরো আগে দোষী হওয়ার কথা। কেননা যদিও আহমাদ তার প্রশংসা করেছেন কিন্তু ইবনু মাঈন বলেছেন, তিনি মিথ্যুক, মন্দ লোক। পুনরায় বলেছেন, তিনি কিছুই না। অতএব ইবনু ‘আবদুওয়াইহ ক্বায়সের চেয়েও দুর্বল। এক কথায় এ অতিরিক্ত অংশটুকু নিকৃষ্ট। এর দুর্বলতা কঠোর হওয়ায় এবং এর বিপরীতে মজবুত মুতাবি‘আত থাকার কারণে এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া ইবনু ‘আব্বাস থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিতঃ ‘‘তোমাদের কোনো ব্যক্তি যখন এমতাবস্থায় কাতারের নিকট পৌঁছবে যে, তা পূর্ণ হয়ে গেছে, তখন সে যেন একজনকে টেনে নিয়ে তাকে তার পার্শ্বে দাঁড় করিয়ে নেয়।’’
এটি ত্বাবারানী ‘আল-আওসাত’ (১/৩৩) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন হাফ্স ইবনু ‘উমার থেকে, তিনি বিশর ইবনু ইবরাহীম থেকে, তিনি হাজ্জাজ ইবনু হাসসান থেকে, তিনি ‘ইকরিমাহ থেকে, তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে মারফূ হিসেবে। অতঃপর তিনি বলেছেনঃ এ সনদে ইবনু ‘আব্বাস সূত্রে বিশর একক হয়ে গেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হাদীস জালকারীদের অন্তর্ভুক্ত। যেমন তা একদল হাদীস বিশারদ ইমামগণ ব্যক্ত করেছেন। ইবনু আদী বলেছেন, তিনি হাদীস জালকারীদের অন্যতম একজন। ইবনু হিব্বান বলেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্যদের উপর হাদীস জাল করতেন। আর আল্লামা হাইসামী বলেছেন, তিনি খুবই নিকৃষ্ট। তার এ কথায় তিনি শিথিলতা করেছেন। তার চেয়েও মন্দ হচ্ছে বুলুগুল মারাম গ্রন্থে হাফিযের চুপ থাকা। অথচ তিনিই ‘আত-তালখীস’ (২/৩৭) গ্রন্থে বলেন, সনদটি খুবই দুর্বল। অতএব তাঁর নীরব থাকার দ্বারা ধোঁকায় পড়া যাবে না।
নির্ভরযোগ্য হাফিয ইয়াযীদ ইবনু হারুন তার বিপরীত সনদ বর্ণনা করেছেন। তিনি ‘ইকরিমাহ স্থলে ইবনু হাইয়্যানকে উল্লেখ করে মুরসালভাবে বর্ণনাকরেছেন। অতএব হাদীসটি এদিকেই প্রত্যাবর্তন করলে যে, এটি মুকাতিব ইবনু হাইয়্যানের মুরসাল বর্ণনা। সনদটি মুরসাল না হলে এর সনদে সমস্যা ছিলো না এবং ইবনু ‘আব্বাস ও ওয়অবিসাহ্ বর্ণিত হাদীসদ্বয় দ্বারা এটিকে শক্তিশালী করা যেতো যদি হাদীস দু’টির দুর্বলতা খুব বেশি না হতো। সুতরাং হাদীসটির দুর্বলতা থেকেই গেলো।
হাদীসটি অন্য সূত্রেও ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে কিন্তু তাতে টেনে নেয়ার কথাটি বলা হয়নি। বরং তার সালাত পুনরায় পড়ার কথা বলা হয়েছে।
সারকথা হলোঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে পুনরায় সালাত আদায়ের নির্দেশ দান এবং কেউ কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়ালে তার সালাত হয় না- এটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে একাধিক সনদে সহীহভাবে প্রমাণিত। আর উক্ত ব্যক্তিকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ- ‘সে যেন কাতার থেকে কোনো ব্যক্তিকে টেনে এনে নিজের সঙ্গে একত্র করে নেয়’ এ মর্মে বর্ণনা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহীহভাবে বর্ণিত হয়নি। (দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ৫৪১ নং যঈফাহ, ৯২১ নং)।
ফায়িদাহ্ঃ যখন সাব্যস্ত হচ্ছে যে, হাদীসটি দুর্বল, তখন কাতার থেকে কোনো ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে তার সাথে কাতার তৈরী করা শারী‘আত সম্মত কথা এরূপ বলাটা সঠিক হবে না। কারণ তাতে সহীহ দলীল ছাড়াই শারী‘আত চালূ করা হবে। আর এরূপ করা জায়িয নয়। বরং ওয়াজিব হচ্ছে এই যে, যদি সম্ভব হয় তাহলে সে কাতারের সাথে মিলে যাবে, অন্যথায় সে একাকী সালাত আদায় করবে। এ অবস্থায় তার সালাত সঠিক হিসেবে গণ্য হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের অধিক কষ্ট দেন না। আর কাতারে না মিলে একাকী সালাত আদায় করলে তা পুনরায় আদায় করার নির্দেশ সম্বলিত হাদীসটি সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে ব্যক্তি কাতারে মিলিত হতে ও ফাঁকা স্থান পূরণ করতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করবে। কাতারে ফাঁকা স্থান না পেয়ে একাকী দাঁড়ালে তা দূষণীয় নয়। অতএব কোনো ব্যক্তি কাতারে জায়গা না পেয়ে কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করলে তার সালাত বাতিল বলে হুকুম লাগানোটা বোধগম্য নয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) তার ‘আল-ইখতিয়ারাত’ (পৃঃ ৪২) গ্রন্থে একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ ওযরের কারণে (কাতারের পিছনে) একাকী সালাত আদায় করলে তা শুদ্ধ হবে। হানাফীরাও একই কথা বলেছেন। যদি কাতারে স্থান না পায় তাহলে উত্তম হচ্ছে যে, সে একাকী পড়বে। সে সামনের কাতার থেকে কাউকে টেনে নিবে না...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সামনের কাতারের খালি স্থান পূরণ করা শুধুমাত্র মুস্তাহাব নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কাতারে মিলিত হয়ে তা পূরণ করলো, আল্লাহ তাকে রহমতের সাথে মিলিত করবেন। আর যে ব্যক্তি কাতারকে ছিন্ন করলো আল্লাহ তাকে তাঁর রহমত থেকে ছিন্ন করবেন।’’ হাক্ব হচ্ছে এই যে, সাধ্যমত কাতারের খালি স্থান পূরণ করা ওয়াজিব। তা সম্ভব না হলে একাকী দাঁড়াবে। (দেখুন, যঈফাহ ৯২২ নং, যঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ ৩৯১-৩৯২) পৃঃ।
শায়খ সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেনঃ সালাতে এসে যদি দেখে যে, কাতার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, তবে তার তিনটি অবস্থা রয়েছেঃ ১) কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করবে। ২) অথবা সামনের কাতার থেকে একজন লোক টেনে নিবে এবং তাকে নিয়ে নতুন কাতার বানাবে। ৩) অথবা কাতারসমূহের আগে চলে গিয়ে ইমামের ডান দিকে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। ৪) এ তিনটি অবস্থা হচ্ছে যদি সে সালাতে প্রবেশ করতে চায়। চতুর্থ অবস্থা হচ্ছে, এর কোনটিই করবে না। অর্থাৎ এ জামা‘আতে শামিল হবে না, অপেক্ষা করবে। এ চারটি অবস্থার মধ্যে কোনটি গ্রহণ করা বিশুদ্ধ?
আমরা বলবো, এ চারটি অবস্থার মধ্যে বিশুদ্ধতম অবস্থাটি হচ্ছে, কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়াবে এবং ইমামের সাথে সালাত আদায় করবে। কেননা ওয়াজিব হচ্ছে জামা‘আতের সাথে এবং কাতারে শামিল হয়ে সালাত আদায় করা। এ দু’টি ওয়াজিবের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন করতে অপারগ হলে অন্যটি বাস্তবায়ন করবে। অতএব আমরা বলবো, কাতারের পিছনে একাকী হলেও জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় করবে। যাতে তার ফাযীলাত লাভ করতে পারেন। এ অবস্থায় কাতারে শামিল হওয়ার ওয়াজিব তার উপর থেকে রহিত হয়ে যাবে। কেননা তিনি তাতে অপারগ। আল্লাহ সাধ্যের অতিত কোনো কাজ বান্দার উপর চাপিয়ে দেননি। তিনি বলেনঃ ‘‘আল্লাহ মানুষের সাধ্যাতিত কোনো কিছু তার উপর চাপিয়ে দেননি।’’ (সূরাহ বাক্বারাহঃ ২৮৬)। তিনি আরো বলেনঃ ‘‘তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় করো।’’ (সূরাহ তাগাবুনঃ ১৬)।
এ মতের প্রমাণে বলা যায়, কোনো নারী যদি কাউকে সাথী হিসেবে না পায় তবুও সে একাকী কাতারের পিছনে দাঁড়াবে। কেননা পুরুষের কাতারে দাঁড়ানো তার অনুমতি নেই। যখন কি না শারঈ নির্দেশের কারণে পুরুষের কাতারে দাঁড়াতে সে অপারগ, তখন একাকী কাতারে দাঁড়াবে এবং সালাত আদায় করবে। অতএব যে ব্যক্তি কাতার পূর্ণ হওয়ার পর মসজিদে প্রবেশ করবে এবং সে প্রকৃতপক্ষে কাতারে দাঁড়ানোর জন্য স্থান পাবে না, তখন তার এ ওয়াজিব রহিত হয়ে যাবে। বাকী থাকবে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় করা। তাই সে কাতারের পিছনে একাকীই দাঁড়াবে ও সালাত আদায় করবে।
কিন্তু সম্মুখের কাতার থেকে কোনো লোককে টেনে নিয়ে আসলে তিনটি নিষিদ্ধ কাজ করা হয়ঃ
(ক) আগের কাতারে একটি স্থান ফাঁকা করা হলো, ফলে কাতার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশের বিরোধী। তিনি কাতারকে বরাবর ও ফাঁকা স্থান পূণৃ করতে নির্দেশ করেছেন।
(খ) টেনে নিয়ে আসা লোকটিকে তার উত্তম স্থান থেকে কম সাওয়াবের স্থানে সরিয়ে দেয়া হলো। যা রীতিমত একটি অপরাধ।
(গ) লোকটির সালাতে ব্যাঘাত ঘটানো হলো। কেননা তাকে টানাটানি করলে তার অন্তরে একাগ্রতা কমে যাবে। এটিও একটি অপরাধ।
তৃতীয় অবস্থায় ইমামের ডান দিকে গিয়ে দাঁড়াতে বলা হয়েছেঃ কিন্তু এটা উচিত নয়। কেননা ইমামের স্থান অবশ্যই মুক্তাদীদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। যেমন করে ইমাম কথায় ও কাজে মুক্তাদীদের থেকে বিশেষ ও আলাদা থাকেন। এটাই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিদায়াত। ইমাম মুক্তাদীদের থেকে আলাদা স্থানে তাদের সম্মুখে এককভাবে অবস্থান করবেন। এটাই ইমামের বিশেষত্ব। এখন মুক্তাদীগণও যদি তাঁর সাথে দন্ডায়মান হয়, তবে তো তাঁর উক্ত বিশেষত্ব শেষ হয়ে গেলো।
আর চতুর্থ অবস্থায় জামা‘আত ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলা হয়েছেঃ এটা অযৌক্তিক বিষয়। কেননা জামা‘আতে শামিল হওয়া ওয়াজিব এবং কাতারে শামিল হওয়াও ওয়াজিব। দু’ ওয়াজিবের একটিতে অপারগ হলে তার কারণে অপরটিকে পরিত্যাগ করা জায়িয হবে না। (ফাতাওয়াহ আরকানুল ইসলাম, পৃষ্ঠা ৪০৫-৪০৭)।
باب الرَّجُلِ يُصَلِّي وَحْدَهُ خَلْفَ الصَّفِّ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ وَابِصَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ - قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ - الصَّلَاةَ .
- صحيح