পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৩-[২৯] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা হজ্জ/হজ পালন করতো অথচ পথের খরচ সঙ্গে নিত না। আর বলতো, আমরা আল্লাহর ওপর ভরসাকারী। কিন্তু মক্কায় পৌঁছে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতো, তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন, ’’ওয়াতাযাও ওয়াদূ ফাইন্না খয়রায্ যা-দিত্ তাক্বওয়া-’’ অর্থাৎ- তোমরা পথের খরচ সাথে নাও, উত্তম পাথেয় তো তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি (অর্থাৎ- অন্যের নিকট ভিক্ষা না করা)। (বুখারী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَحُجُّونَ فَلَا يَتَزَوَّدُونَ وَيَقُولُونَ: نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَإِذَا قَدِمُوا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: (وتزَوَّدُوا فإِنَّ خيرَ الزَّادِ التَّقوى) رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (تَزَوَّدُوْا) ‘‘তোমরা পাথেয় গ্রহণ করো’’। অর্থাৎ- পাথেয় হিসেবে তোমরা খাদ্য সামগ্রী সাথে নিয়ে নাও এবং অন্যের নিকট খাবার চাওয়া হতে বিরত থাকো। (فإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى) ‘‘কেননা উত্তম পাথেয় হলো তাক্বওয়া’’। অর্থাৎ- সওয়াল (চাওয়া) করা থেকে বিরত থাকা। ইমাম শাওকানী বলেনঃ এ আয়াতে এ সংবাদ প্রদান করা হয়েছে যে, উত্তম পাথেয় হলো নিষিদ্ধ কাজ হতে বেঁচে থাকা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে পাথেয় সহ বের হওয়ার জন্য যে নির্দেশ দিয়েছেন তোমরা সে নির্দেশ পালনে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা আল্লাহকে ভয় করাই হচ্ছে উত্তম পাথেয়। এও বলা হয়ে থাকে যে, আয়াতের মর্মার্থ হলোঃ উত্তম পাথেয় তাই যা দ্বারা মুসাফির নিজেকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করে এবং মানুষের নিকট হাত পাতা ও তাদের নিকট সওয়াল করার প্রয়োজন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে।