পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২৫১৪-[১০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিহাদে যাবার জন্য অনুমতি চাইলাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের জিহাদ হলো হজ্জ/হজ। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: اسْتَأْذَنْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجِهَادِ. فَقَالَ: «جهادكن الْحَج»
ব্যাখ্যা: (جِهَادُكُنَّ الْحَجُّ) ‘‘তোমাদের জিহাদ হলো হজ্জ/হজ’’। অর্থাৎ- তোমাদের ওপর জিহাদ করা ফরয নয়। সক্ষম হলে, অর্থাৎ- হজ্জের শর্তসমূহ পূর্ণ হলে তোমার ওপর হজ্জ/হজ করা ফরয। অত্র হাদীসে হজ্জকে জিহাদ বলা হয়েছে। এজন্য যে, হজ্জ সম্পাদন করার জন্য নাফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হয়। তাছাড়া জিহাদে, যেমন- সফরের কষ্ট স্বীকার করতে হয় অনুরূপভাবে হজ্জের জন্য সফরের কষ্ট এবং শারীরিক কষ্ট স্বীকার করতে, আর পরিবার-পরিজন ও স্বীয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে কষ্ট সহ্য করতে হয়। আর এ কাজগুলো জিহাদের মধ্যেও করতে হয়।
ইবনু বাত্ত্বাল বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস প্রমাণ করে যে, মহিলাদের ওপর জিহাদ ফরয নয় বরং তারা আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ انْفِرُواْ خِفَافاً وَثِقَالًا (সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৪১ আয়াত)-এর অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি সর্বসম্মত বিষয়। তবে (جِهَادُكُنَّ الْحَجُّ) এর অর্থ এ নয় যে, তারা নফল জিহাদও করতে পারবে না। বরং হাদীসের মর্ম হলো মহিলাদের জন্য জিহাদের চাইতে হজ্জ/হজ উত্তম। তাদের উপর জিহাদ এ জন্য ফরয নয় যে, মহিলাদের পুরুষদের থেকে পৃথক থাকা এবং তাদের থেকে পর্দা করা জরুরী। অথচ জিহাদ এর বিপরীত। তাই তাদের উপর জিহাদ ফরয নয়।