পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২৫১০-[৬] উক্ত রাবী [’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হজের সফরে) ’রওহা’ নামক জায়গায় এক আরোহী দলের সাক্ষাৎ পেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? তারা বললো, ’আমরা মুসলিম’। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলো, ’আপনি কে?’ তিনি বললেন, (আমি) আল্লাহর রসূল! তখন একজন মহিলা একটি শিশুকে উঠিয়ে ধরলেন এবং বললেন, (হে আল্লাহর রসূল!) এর কি হজ্জ/হজ হবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, তবে সাওয়াব হবে তোমার। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ رَكْبًا بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ: «مَنِ الْقَوْمُ؟» قَالُوا: الْمُسْلِمُونَ. فَقَالُوا: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: «رَسُولُ اللَّهِ» فَرَفَعَتْ إِلَيْهِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا فَقَالَتْ: أَلِهَذَا حَجٌّ؟ قَالَ: «نَعَمْ وَلَكِ أَجَرٌ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: (أَلِهٰذَا حَجٌّ) ‘‘এ শিশুটির হজ্জ হবে কি?’’ অর্থাৎ- এ শিশুটি যদি হজ্জ/হজ পালন করে তাহলে সে হজের সাওয়াব পাবে কি? (قَالَ: نَعَمْ) ‘‘তিনি বললেনঃ হ্যাঁ (وَلَكِ أَجَرٌ) ‘‘তোমারও সাওয়াব হবে’’। ইমাম নাবাবী বলেনঃ এর অর্থ হলো ঐ শিশুকে বহন করার জন্য এবং তাকে ঐ সমস্ত কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য তিনি সাওয়াব পাবেন যে সমস্ত কাজ থেকে ইহরামধারী ব্যক্তি বিরত থাকেন।
অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, শিশুকে সাথে নিয়ে হজ্জ/হজ করা বিধিসম্মত। এতে ‘উলামাগণের মাঝে কোন বিরোধ নেই। এতে এটাও জানা গেল যে, শিশু ছোট হোক বা বড় হোক তার হজ্জ/হজ বিশুদ্ধ। তবে শিশুর পক্ষ থেকে এ হজ্জটি নফল হজ্জ বলে গণ্য হবে। বালেগ হওয়ার পর হজ্জ ফরয হওয়ার শর্তসমূহ পাওয়া গেলে তাকে পুনরায় হজ্জ করতে হবে।
কোন শিশু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধার পর ‘আরাফাতে অবস্থান করার পূর্বে বালেগ হলে তার বিধান কি? এ নিয়ে ‘উলামাগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
ইমাম মালিক-এর মতে ইহরাম বাঁধার পর ‘আরাফাতে অবস্থানের পূর্বে শিশু বালেগ হলে অনুরূপভাবে গোলামকে আযাদ করা হলে তারা ঐ অবস্থায় হজের কাজ সম্পাদন করবে। তবে তাদের উভয়কে পুনরায় ফরয হজ্জ/হজ সম্পাদন করতে হবে।
ইমাম আবূ হানীফার মতে তারা যদি নতুন করে ইহরাম বেঁধে হজের বাকী কাজ সম্পন্ন করে তাহলে এটিই তাদের জন্য ফরয হজ্জ/হজ বলে গণ্য হবে।
ইমাম শাফি‘ঈর মতে শিশু ইহরাম বাঁধার পর ‘আরাফাতে অবস্থানের পূর্বে বালেগ হলে অনুরূপভাবে গোলাম ইহরাম বাঁধার পর তাকে আযাদ করা হলে ঐ ইহরামেই তারা ‘আরাফাতে অবস্থানসহ হজ্জের বাকী কাজ সম্পাদন করলে এ হজ্জই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। তাদের পুনরায় ফরয হজ্জ/হজ করতে হবে না।