হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২২৪৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৪৪-[২২] সালমান ফারসী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত লজ্জাশীল ও দয়ালু। বান্দা যখন তাঁর কাছে কিছু চেয়ে হাত উঠায় তখন তার হাত (দু’আ কবূল না করে) খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, বায়হাক্বী- দা’ওয়াতুল কাবীর)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن سَلْمَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعوات الْكَبِير

ব্যাখ্যা: (كَرِيمٌ) তিনি না চাইতেই মানুষকে অনেক নিয়ামত দিয়ে থাকেন, সুতরাং চাইলে তো আর কোন কথাই নেই, অবশ্যই তার বান্দার আহবানে তিনি সাড়া দিবেন।

(أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا) আল্লাহর বান্দা তার নিকট হাত উঠিয়ে কিছু চাইলে সে হাতকে তিনি খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন- এর অর্থ হলো তার দু‘আ তিনি মঞ্জুর করেন।

আনাস (রাঃ) থেকে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে যে হাদীসটি বর্ণনা হয়েছে সেখানে আনাস (রাঃ) বলেছেন, শুধুমাত্র বৃষ্টির দু‘আ ব্যতীত অন্য কোন দু‘আতেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠাননি। আর এ বর্ণনাগুলোতে বরাবরই হাত উঠানোর কথা পাওয়া যাচ্ছে।

এ বর্ণনা দু’টির বৈপরীত্যের উত্তর হলো বৃষ্টি চেয়ে যে দু‘আ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) করেছেন তাতে হাত এতটুকু উঠাতেন যা আকাশের দিকে হওয়াতে তার বগলের শুভ্রতা পর্যন্ত পরিলক্ষিত হতো।

এতদ্ব্যতীত যে দু‘আ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) করেছেন তাতেও হাত তুলেছেন তবে তা ছিল জমিনের পানে ততটা উঁচু করে নয়, যতটা বৃষ্টির জন্য দু‘আ করা হতো। এমন মতামতই পেশ করেছেন হাফেয ইবনু হাজার আল আসকালানী (রহঃ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ