হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২২৩৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৩৬-[১৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন দু’আ করলে আল্লাহ তা’আলা তার হয়ত সে দু’আ কবূল করেন অথবা এরূপ কোন বিপদকে তার ওপর থেকে দূরে সরিয়ে দেন, যদি সে কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের জন্য দু’আ না করে। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلَّا آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رحم» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (إِلَّا اٰتَاهُ اللّٰهُ مَا سَأَلَ) অর্থাৎ- যদি তাকদীরে তার লেখা থাকে তাহলে তার দু‘আর প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাকে দান করে থাকেন।

(أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَه) অর্থাৎ- তার তাকদীরে যদি সে যে বিষয় চেয়েছে তা না থাকে তবে কমপক্ষে তার কোন না কোন অনিষ্ট দূর করে দেয়া হবে।

একটি প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ হাদীসে বলা হলো, যদি সে যে কল্যাণের জিনিস চেয়েছে তা না দেয়া হয় তাহলে তার যে কোন একটি বিপদ বা অনিষ্ট দূর করে দেয়া হবে। প্রশ্ন হলো বিপদ দূর করে দেয়াকে কল্যাণ দেয়ার সমতুল্য করা হলো কিভাবে? কারণ কল্যাণ দান আর বিপদ দূর করাতো এক বিষয় নয়।

এর উত্তরে হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, তার চাহিদামাফিক কল্যাণ দিলে তার আরাম স্বস্তি হতো আর অকল্যাণ দূর করলেও তো আরামে স্বস্তি হয়। সুতরাং আরামের দৃষ্টিকোণ থেকে দু’টি এক সাথে তুলনা করে দেখানোর বেশ যৌক্তিকতা রয়েছে।

‘আল্লামা ত্বীবী বলেছেন, কল্যাণ যেমন প্রয়োজন অনুরূপ অকল্যাণ দূরবর্তী হওয়াও প্রয়োজন। সুতরাং প্রয়োজনের দৃষ্টিকোণ থেকে দু’টিকে একই বিবেচনা করা হয়েছে।

(أَوْ قَطِيعَةِ رحم) অর্থাৎ- আত্মীয়ের সম্পর্ক ছেদনের দু‘আ না করার কথা হাদীসে বলা হয়েছে। এর আগে বলা হয়েছে পাপের দু‘আ না করার কথা। এখানে মূলত প্রথমে পাপ বলে সব পাপকেই বুঝানো হয়েছে পরে গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আত্মীয়ের সম্পর্ক ছেদন করার দু‘আ না করার কথা বলা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ