পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০১-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান (রমজান) মাসে ভোর পর্যন্ত অপবিত্র অবস্থায় থাকতেন। এ অপবিত্রতা স্বপ্নদোষের কারণে নয়। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গোসল করতেন ও সওম পালন করতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ تَنْزِيْهِ الصَّوْمِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ فِي رَمَضَانَ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ غَيْرِ حُلْمٍ فَيَغْتَسِلُ وَيَصُومُ
ব্যাখ্যা: (فَيَغْتَسِلُ وَيَصُوْمُ) ‘‘অতঃপর তিনি গোসল করতেন ও সিয়াম পালন করতেন।’’ এ হাদীসে প্রমাণ করে যে, কোন ব্যক্তি জুনুবী অবস্থায় ফজর ওয়াক্তে উপনীত হলে তার সিয়াম বিশুদ্ধ। এ নাপাকী স্বপ্নদোষের কারণেই হোক অথবা সহবাসের কারণেই হোক জমহূরে ‘আলিমদের অভিমত এটিই।
হাসান ও মালিক ইবনু ‘আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সিয়াম বিশুদ্ধ হবে না এবং তা কাযা করতে হবে।
হায়িয ও নিফাস হতে যে নারী রাতের বেলা পবিত্র হয় এবং গোসলের পূর্বেই ফজর ওয়াক্ত তার বিধানও জুনুবীর মতই। অবশ্য উপরে বর্ণিত সকলের ক্ষেত্রেই ফজরের পূর্বেই সিয়ামের নিয়্যাত করতে হবে।