পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬৭-[১২] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযানকে স্বাগত জানাবার জন্য বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জান্নাতকে সাজানো হতে থাকে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, বস্তুত যখন রমাযানের প্রথম দিন শুরু হয়, ’আরশের নীচে জান্নাতের গাছপালার পাতাগুলো হতে ’’হূরিল ’ঈন’’-এর মাথার উপর বাতাস বইতে শুরু করে। তারপর হূরিল ’ঈন বলতে থাকে, হে আমাদের রব! তোমার বান্দাদেরকে আমাদের স্বামী বানিয়ে দাও। তাদের সাহচর্যে আমাদের আঁখি যুগল ঠাণ্ডা হোক আর তাদের চোখ আমাদের সাহচর্যে শীতল হোক। (উপরোক্ত তিনটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী তাঁর ’’শু’আবূল ঈমান’’-এ বর্ণনা করেছেন)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْجَنَّةَ تُزَخْرَفُ لِرَمَضَانَ مِنْ رَأْسِ الْحَوْلِ إِلَى حَوْلِ قَابِلٍ» . قَالَ: فَإِذَا كَانَ أَوَّلُ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ هَبَّتْ رِيحٌ تَحْتَ الْعَرْشِ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ عَلَى الْحُورِ الْعِينِ فَيَقُلْنَ: يَا رَبِّ اجْعَلْ لَنَا مِنْ عِبَادِكَ أَزْوَاجًا تَقَرَّ بِهِمْ أَعْيُنُنَا وَتَقَرَّ أَعْيُنُهُمْ بِنَا . رَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
ব্যাখ্যা: (إِنَّ الْجَنَّةَ تُزَخْرَفُ لِرَمَضَانَ) ‘‘রমাযান (রমজান) উপলক্ষে জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়’’ অর্থাৎ- রমাযান (রমজান) মাস আগমন উপলক্ষে জান্নাত সজ্জিত করা হয়।
ইবনু হাজার বলেনঃ সম্ভবতঃ এখানে বৎসরের শুরু হতে শাওয়াল মাস উদ্দেশ্য। মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) (ফেরেশতাগণ) শাওয়াল মাসের শুরু থেকে প্রথম রমাযান (রমজান) আগমন পর্যন্ত জান্নাত সজ্জিত করতে থাকে।
অতঃপর জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় যাতে অন্যান্য মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) তা অবলোকন করতে পারে যা ইতোপূর্বে অবলোকন করেনি। (تَحْتَ الْعَرْشِ) ‘আরশের নীচে। অর্থাৎ- জান্নাতের মধ্যে বায়ু প্রবাহিত হয়। কেননা জান্নাতের ছাদ হলো মহান আল্লাহর ‘আরশ।