হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৪৬১

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী

১৪৬১-[৯] জাবির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক কুরবানীর দিনে দু’টি ছাই রঙের শিংওয়ালা খাসী দুম্বা কুরবানী করলেন। ওদের ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী করে বললেন

’ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযা ’আলা- মিল্লাতি ইব্‌রা-হীমা হানীফাও্ ওয়ামা- আনা- মিনাল মুশরিকীন, ইন্না সলা-তী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন, লা- শারীকা লাহূ, ওয়াবিযা-লিকা আমারতু ওয়া আনা- মিনাল মুসলিমীন, আল্ল-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ’আন্ মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহী, বিসমিল্লা-হি ওয়াল্ল-হু আকবার’’ বলে যাবাহ করতেন।

(আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী। কিন্তু আহমাদ, আবূ দাঊদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন, নিজ হাতে যাবাহ করলেন এবং বললেন, ’’বিসমিল্লা-হি ওয়াল্ল-হু আক্বার, আল্ল-হুমা হা-যা- ’আন্নী, ওয়া ’আমমান লাম ইউযাহহি মিন উম্মাতী’’’ [অর্থাৎ হে আল্লাহ এ কুরবানী আমার পক্ষ থেকে কবূল করো। কবূল করো আমার উম্মাতগণের মধ্য থেকে যারা কুরবানী করতে পারেনি তাদের পক্ষ হতে।])[1]

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: ذَبَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الذَّبْحِ كَبْشَيْنِ أَقْرَنَيْنِ أَمْلَحَيْنِ موجئين فَلَمَّا وجههما قَالَ: «إِنِّي وجهت وَجْهي للَّذي فطر السَّمَوَات وَالْأَرْضَ عَلَى مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أَمَرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَأُمَّتِهِ بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ ذَبَحَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لِأَحْمَدَ وَأَبِي دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيِّ: ذَبَحَ بِيَدِهِ وَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ هَذَا عَنِّي وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ من أمتِي»

ব্যাখ্যা: (مَوْجُئين) যার দু’ অন্ডকোষ বের করে নেয়া হয়েছে। খাত্ত্বাবী বলেন, এটা প্রমাণ করে যে, খাসী কুরবানী করা অপছন্দ না অবশ্য কেউ অপছন্দ করেছে অঙ্গ কম হওয়ার কারণে। আর এই ত্রুটি দোষের না, কেননা খাসীতে গোশ্‌ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) বৃদ্ধি পায় আর সুস্বাদু হয় এবং গন্ধকে দূরীভূত করে। আর হাদীস প্রমাণ করে যে, কুরবানীর পশু যাবাহের সময় কুরআনের এ আয়াত  ...إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي ‘‘আমি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী আর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’’- (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ : ৭৯) পড়া ভাল। এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে কুরবানী ওয়াজিব না হাদীসের ভাষ্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানী তার পক্ষ হতে যথেষ্ট যারা কুরবানী দেয়নি চাই তারা কুরবানীর দেয়ার সামর্থ্যবান হোক বা না হোক।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ