পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৩৯-[১৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করার পর তাদের দু’টি দিন ছিল। এ দিন দু’টিতে তারা খেলাধূলা ও আমোদ-প্রমোদ করত। (এ দেখে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কি? তারা বলল ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়্যাতের সময় এ দিন দু’টিতে আমরা খেলাধূলা করতাম। (এ কথা শ্রবণে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ দু’দিনের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য আরো উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। এর একটি হলো ঈদুল আযহার দিন ও অপরটি ঈদুল ফিতরের দিন। (আবূ দাঊদ)[1]
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ: «مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ؟» قَالُوا: كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ أَبْدَلَكُمُ اللَّهُ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا: يَوْمَ الْأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (يَوْمَانِ يَلْعَبُوْنَ فِيْهِمَا) এমন দু’টি দিন নির্ধারিত ছিল যে দিনগুলোতে খেলাধূলা ও রং তামাশা করত আর দিন দু’টি ‘নিরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ হাদীসটিতে দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় যে, কাফিরদের ঈদোৎসব সমূহকে যেমন নিরোজ ও মেহেরজানকে সম্মান করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে বলেন, মুশরিকদের উৎসবসমূহে আনন্দ প্রকাশ করা ও তাদের সাদৃশ্য হওয়া ঘৃণা হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
হানাফী সম্প্রদায়ের শায়খ আবূ হাফস্ আল আন্ নাসাফী কড়া সমালোচনা করে বলেন, মুশরিকদের ঐ দিনে একটি ডিমও উপহার দেয় তাদের উৎসবকে সম্মান করে তাহলে সে আল্লাহর সাথে কুফরী করল। আর ক্বাযী মানসূর হানাফী বলেনঃ ঐ দিনে কেউ যদি কোন কিছু ক্রয় করে তার ক্রয় অন্য কোন উদ্দেশ্য না অথবা অন্য কাউকে উপহার দেয় ঐ উৎসবকে সম্মানের উদ্দেশে যেমন কাফিরকে সম্মান করে তাহলে সে কাফির হল। আর যদি ভোগের উদ্দেশে ক্রয় করে আর স্বাভাবিক ভালবাসার বন্ধুত্ব চালু রাখার জন্য উপহার দেয় তাহলে কাফির হবে না তবে কাজটি ঘৃণিত এর থেকে বেঁচে থাকা প্রয়োজন। ইবনু হাজার বলেন, এ কুসংস্কৃতি চালু করেছে মিসরবাসীরা তাদের অধিকাংশরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের উৎসব ও সংস্কৃতির সাথে মিশে গিয়েছিল তাদেরকে সম্মান করতে যেয়ে। যেমন খাওয়া-দাওয়ায় পোশাকে-আষাকে মিশে গিয়েছিল। ইবনু হাজার মালিকী-এর প্রচন্ড বিরোধিতা করেন এবং মুসলিমদের সংস্কৃতিগুলো তুলে ধরেন।
আমি (ভাষ্যকার) বলিঃ অনুরূপ প্রচুর সংখ্যক ভারত ও পাকিস্তানের মুসলিম কাফিরদের সাথে বিশেষ করে হিন্দু, খৃষ্টান, ইয়াহূদী অগ্নিপূজকে তাদের উৎসবের সংস্কৃতির সাথে মিশে গেছে। তারা যা করে মুসলিমরাও তা করে।