পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮২৮-[৭] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাতে প্রথম দু’ রাক্’আতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ এবং আরও দু’টি সূরাহ্ পাঠ করতেন। পরের দু’ রাক্’আতে শুধু সূরাহ্ ফাতিহা পাঠ করতেন। আর কখনও কখনও তিনি আমাদেরকে আয়াত শুনিয়ে পাঠ করতেন। তিনি প্রথম রাক্’আতকে দ্বিতীয় রাক্’আত অপেক্ষা লম্বা করে পাঠ করতেন। এভাবে তিনি ’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)ও আদায় করতেন। এভাবে তিনি ফাজ্রের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقْرَأ فِي الظُّهْرِ فِي الْأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَيُسْمِعُنَا الْآيَةَ أَحْيَانًا وَيطول فِي الرَّكْعَة الأولى مَا لَا يطول فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْح
ব্যাখ্যা: প্রথম রাক্‘আতে ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘায়িত করার কারণ হলো তাতে মুক্তাদীগণ সালাতে শরীক হওয়ার সুযোগ পায়। ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ, মালিক, হানাফীদের মধ্যে ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) সহ প্রায় সমস্ত ইমামগণই বলেন, সকল সালাতেই প্রথম রাক্‘আতে ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ এবং দ্বিতীয় রাক্‘আতে খাটো করে পড়াই উত্তম। এ হাদীসটি তাদের দলীল। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ ও আবূ ইউসুফ (রহঃ) বলেন, ফাজর (ফজর) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত সকল সালাতে উভয় রাক্‘আতে সমানভাবে দীর্ঘ কিংবা হ্রাস হওয়া উত্তম। মূলত ফাজরের (ফজরের) সময় নিদ্রা ও অসচেতনতার সময়। তাই মুক্তাদীদের সহানুভূতির লক্ষ্যে ক্বিরাআত (কিরআত) লম্বা করা বাঞ্ছনীয়। আর ক্বিরাআতের মধ্যে উভয় রাক্‘আতের মর্যাদা সমান। কাজেই উভয় রাক্‘আতেই সমপরিমাণ হওয়া উচিত। যেমন- অন্য আরেক হাদীস বর্ণিত আছে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফাজরের (ফজরের) প্রত্যেক রাক্‘আতে প্রায় ত্রিশ আয়াত পরিমাণ পাঠ করতেন। আর প্রথম রাক্‘আত দীর্ঘ করতেন মানে বিসমিল্লা-হ, আ‘ঊযুবিল্লা-হ ও সানা ইত্যাদির দরুন দীর্ঘায়িত হত।