পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৭-[১৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুয়াযযিন, তাকে মাফ করে দেয়া হবে। তার আযানের আওয়াজের শেষ সীমা পর্যন্ত তার জন্য সাক্ষ্য দেবে প্রতিটা সজীব ও নির্জীব জিনিস। যে সালাতে উপস্থিত হবে, তার জন্য প্রতি সালাতে পঁচিশ সালাতের সাওয়াব লিখা হবে। মাফ করে দেয়া হবে তার দুই সালাতের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহগুলো। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ্ ও নাসায়ী)[1]
কিন্তু নাসায়ী, প্রত্যেক সজীব নির্জীব পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি আরও বলেছেন, তার জন্য সাওয়াব রয়েছে যারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছে তাদের সমান।[2]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مد صَوْتِهِ وَيَشْهَدُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَشَاهِدُ الصَّلَاة يكْتب لَهُ خمس وَعِشْرُونَ حَسَنَة وَيُكَفَّرُ عَنْهُ مَا بَيْنَهُمَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَرَوَى النَّسَائِيُّ إِلَى قَوْلِهِ: «كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ» . وَقَالَ: «وَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ من صلى»
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মুয়াযযিনের ফাযীলাত বর্ণনার পাশাপাশি জামা‘আতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মুয়াযযিনের আযানের ধ্বনি যে পর্যন্ত পৌঁছবে তার মধ্যকার সকল প্রাণী ও অপ্রাণী মুয়াযযিনের ক্ষমার জন্য দু‘আ করতে থাকবে। মূলত এর দ্বারা মুয়াযযিনকে উচ্চৈঃস্বরে আযান দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। আর যে ব্যক্তি সালাতে উপস্থিত হবে তাকে পঁচিশ রাক্‘আত সালাতের সাওয়াব দেয়া হবে। এখানে উপস্থিত হওয়ার দ্বারা জামা‘আতে সালাত আদায় করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মর্মার্থ হলো, দুই আযান তথা আযান ও ইক্বামাতের মধ্যে অথবা এক সালাত থেকে অপর সালাতের মধ্যে সংঘটিত গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।