হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৩০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৩০-[৩৩] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা সে ব্যক্তির মুখ উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন কথা শুনেছে এবং যেভাবে শুনেছে ঠিক সেভাবেই অন্যের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছে। অনেক সময় যাকে পৌঁছানো হয় সে শ্রোতা থেকে অধিক স্মরণকারী হয়। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ

وَعَن ابْن مَسْعُودٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى لَهُ مِنْ سَامِعٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যা: (فَبَلَّغَهٗ كَمَا سَمِعَهٗ) ‘‘যেভাবে শুনেছে ঠিক সেভাবেই তা অন্যের নিকট পৌঁছে দিয়েছে।’’ অর্থাৎ- শ্রবণকৃত কথার মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্তন পরিবর্ধন ও কমবেশী না করে ঠিক সেভাবেই তা অন্যের নিকটে পৌঁছিয়েছে যেভাবে তা শুনেছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাস করে হাদীস বর্ণনাকারীর জন্য দু‘আ করেছেন এজন্য যে, তিনি ‘ইলমের উজ্জ্বলতা এবং সুন্নাতের সংস্কারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে যে, তাই তার প্রতিদান স্বরূপ তার জন্য উপযোগী দু‘আ করেছেন। এ হাদীস প্রমাণ করেন হাদীস বর্ণনাকারী ও তার শিক্ষা অর্জনকারীর জন্য অনেক মর্যাদা ও ফাযীলাত রয়েছে। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস সংরক্ষণকারী ও তা বর্ণনাকারীর জন্য এমন দু‘আ করেছেন যা তার উম্মাতের মাঝে অন্য কারোর জন্য করেননি।

(فَرُبَّ مُبَلَّغٍ اًوْعى لَهٗ مِنْ سَامِعٍ) ‘‘অনেক সময় যাকে পৌঁছানো হয় সে শ্রোতার চাইতে অধিক স্মরণকারী হয়।’’ অর্থাৎ- অনেক সময় এমন লোক দেখা যায় যে, যিনি কারো নিকট থেকে হাদীস শুনেছেন কিন্তু তিনি ঐ হাদীসের মর্ম অনুধাবন করতে পারেননি। বরং এ ব্যক্তি হাদীসটি যখন অন্য কারোর নিকট পৌঁছিয়ে দেন তখন ঐ দ্বিতীয় শ্রোতা প্রথম শ্রোতার চাইতে হাদীসের মর্ম বুঝতে অধিক পারঙ্গম হয়। তার অর্থ বুঝতে অধিক বুদ্ধিমান হয়। এতে প্রথম শ্রোতার চাইতে দ্বিতীয় শ্রোতা অধিক লাভবান হয় এবং তার দ্বারা অন্যান্য লোকজন হাদীস দ্বারা মাস্আলাহ্-মাসায়েল জানার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ