পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২০৩-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ যখন মারা যায় তখন তার ’আমল বন্ধ (নিঃশেষ) হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি ’আমলের সাওয়াব (অব্যাহত থাকে): (১) সদাক্বায়ি জারিয়াহ্, (২) জ্ঞান- যা থেকে মানুষ উপকৃত হতে থাকে এবং (৩) সুসন্তান- যে তার (পিতা-মাতার) জন্য দু’আ করে। (মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ: صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أوعلم ينْتَفع بِهِ أوولد صَالح يَدْعُو لَهُ) رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: নিশ্চয়ই মানুষ যখন মারা যায় তখন তার ‘আমলের সাওয়াব আর লেখা হয় না, কেননা সাওয়াব মূলত তার ‘আমলের বদলা আর তা ব্যক্তি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সর্বদাই কল্যাণকর ও উপকারী কাজের বদলা চলতে থাকে। যেমন- কোন কিছু ওয়াকফ করে যাওয়া অথবা শারী‘আতী বিদ্যা লিখে যাওয়া অথবা শিক্ষা দিয়ে যাওয়া বা ব্যবস্থা করে যাওয়া অথবা সৎ সন্তান রেখে যাওয়া। সৎ সন্তান মূলত ‘আমলেরই আওতাভুক্ত, কেননা পিতাই মূলত সন্তানের অস্তিত্বের কারণ ও তাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে সৎ করে তোলার কারণ। সন্তান ছাড়া অন্য কেউ যদি মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করে তাহলে মৃত ব্যক্তির জন্য ঐ দু‘আ কাজে আসবে তথাপিও হাদীসে সন্তানকে নির্দিষ্ট করার কারণ হচ্ছে সন্তানকে দু‘আর ব্যাপারে উৎসাহিত করা।