হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৮৫-[৪৬] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামা’আত (দল) হতে এক বিঘত পরিমাণও দূরে সরে গেছে, সে ইসলামের রশি (বন্ধন) তার গলা হতে খুলে ফেলেছে। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شبْرًا فقد خلع رقة الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: এখানে জামা‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য সাহাবী, তাবি‘ঈন, তাবি তাবি‘ঈন, সালফে সলিহীন এবং ধারাবাহিকতা বা নীতিভিত্তিক মুসলিমদের জামা‘আত। অর্থাৎ- যে ব্যক্তি সুন্নাতকে বর্জন ও বিদ্‘আতকে ধারণ করে এবং আনুগত্য থেকে বের হয়ে গিয়ে জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সে যেন ইসলামের বন্ধনকে নিজ গলা থেকে খুলে দিল।

‘আল্লামা খাত্ত্বাবী বলেছেনঃ যে কোন জামা‘আতের ইমামের বা নেতার আনুগত্য থেকে বের হয়ে যাবে অথবা ঐকমত্যের কোন বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, যে তখন পথভ্রষ্ট এবং ধ্বংস হয়ে যাবে।

হাদীসটি ইমাম নাসায়ী এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ যে ব্যক্তি আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল এবং জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন পয়ে পড়ল, সে যেন জাহিলী যুগের মৃত্যুবরণ করল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ