হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৮৩-[৪৪] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শারী’আতের বিষয় তিন প্রকারঃ (১) এমন বিষয়, যার হিদায়াত সম্পূর্ণ পরিষ্কার। তাই এ নির্দেশ মেনে চল। (২) সে বিষয়, যার ভ্রষ্টতাও স্পষ্ট, সুতরাং তা পরিহার কর এবং (৩) এ বিষয়, যা মতভেদপূর্ণ তা মহান আল্লাহর হাতে ছেড়ে দাও। (আহমাদ)[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْأَمْرُ ثَلَاثَةٌ: أَمْرٌ بَيِّنٌ رُشْدُهُ فَاتَّبِعْهُ وَأَمْرٌ بَيِّنٌ غَيُّهُ فَاجْتَنِبْهُ وَأَمْرٌ اخْتُلِفَ فِيهِ فَكِلْهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجل) رَوَاهُ أَحْمد

ব্যাখ্যা: তিন প্রকার নিম্নরূপঃ

১. এমন বিষয় যেগুলোর সঠিক হওয়াটা স্পষ্ট, তা হলো ‘ইবাদাতের মৌলিক বিষয়াদি, যেমনঃ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও যাকাত ফরয হওয়া।

২. ভ্রষ্টতার বিষয়গুলো সুস্পষ্ট, যেমন- মানুষ হত্যা করা, যিনা করা।

৩. এমন বিষয় যেগুলোর বিধান সম্পর্কে আল্লাহ ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা না করায় মানুষ সেগুলোতে মতবিরোধ করেছে। এ ধরনের বিষয় আল্লাহর নিকট সোপর্দ করতে বলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সঠিক জানলে সেগুলোর প্রতি ‘আমল করতে হবে ভ্রান্ত জানলে সেগুলো বর্জন করতে হবে। যেমন কুরআনের মুতাশাবিহ মূলক আয়াত এবং ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) বিষয়াদি।