পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
৯৮-[২০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা তাক্বদীর সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে উপস্থিত হন। তিনি এটা দেখে এত রাগ করলেন যে, রাগে তাঁর চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল, মনে হচ্ছিল যেন তাঁর চেহারা মুবারকে আনারের (ডালিমের) রস নিংড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের কি (তর্কে লিপ্ত হওয়া জন্য) নির্দেশ দেয়া হয়েছে অথবা এজন্য কি রসূল বানিয়ে তোমাদের নিকট আমাকে পাঠানো হয়েছে? (জেনে রাখ!) তোমাদের পূর্বে অনেক লোকেরা বিতর্কে লিপ্ত হয়ে তখনই ধ্বংস হয়েছে, যখনই তারা এ বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা করেছে। আমি তোমাদেরকে কসম করে বলছি, আবারও কসম করে বলছি- সাবধান! এ বিষয় নিয়ে তোমরা কক্ষনো তর্কে জড়িয়ে যেয়ো না। (তিরমিযী)[1]
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثاني
وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي الْقَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وجنتيه الرُّمَّانِ فَقَالَ أَبِهَذَا: «أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلُكُمْ حِينَ تنازعوا فِي هَذَا الْأَمر عزمت عَلَيْكُم أَلا تتنازعوا فِيهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ من حَدِيث صَالح المري وَله غرائب يتفرد بهَا لَا يُتَابع عَلَيْهَا قلت: لَكِن يشْهد لَهُ الَّذِي بعده
Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 2
Abu Huraira said:
God’s messenger came out to us when we were arguing about God’s decree. He was angry and his face became so red that it looked as if pomegranate seeds had been burst open on his cheeks. He then said, “Is this what you were commanded to do, or was it for this purpose that I was sent to you? Your predecessors perished only when they argued about this matter. I adjure you, I adjure you, not to argue about it.”
Tirmidhi transmitted it, and Ibn Majah transmitted something similar from ‘Amr b. Shu'aib from his father from his grandfather.
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাগান্বিত হওয়ার কারণ ছিল এই যে, তাক্বদীর হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার গোপন বিষয়সমূহের অন্যতম। আর আল্লাহ তা‘আলার গোপন বিষয় অন্বেষণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, পাশাপাশি যারা তাক্বদীরের বিষয়ে আলোচনা করবে তারা ক্বদারিয়াহ্ বা জাবারিয়্যাহ্ বনে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া বান্দারা শারী‘আত প্রণেতার সকল আদেশ পালন করতে আদিষ্ট, এ ব্যাপারে যে সমস্ত জিনিসের গোপন রহস্য সম্পর্কে চিন্তা করা বৈধ নয় তার গোপন রহস্য বের করা ব্যতীত রেখেই।