পরিচ্ছেদঃ ১৩. যুহার সালাত মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন (রাকাআতের পরিমাণ) হচ্ছে দু' রাকাআত আর সম্পূর্ণ হচ্ছে আট রাকাআত, মধ্যম পরিমাণ হচ্ছে চার অথবা ছয় রাকাআত এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান
১৫৪৮-(৭৮/৭১৯) শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... মুআযাহ (রহঃ) আয়িশাহ্ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’যুহা’ বা চাশতের সালাত কয় রাকাআত আদায় করতেন? জবাবে আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেনঃ তিনি ’যুহা’ বা চাশতের সালাত সাধারণতঃ চার রাকাআত আদায় করতেন এবং অনেক সময় ইচ্ছামত আরো বেশী আদায় করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫৩৩, ইসলামীক সেন্টার ১৫৪০)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। সালাতুল আওয়াবীন নামে একটি নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। সেই নামাজটিকে পূর্বাহ্নের বা চাশতের নামাজ বলা হয়। এই নামাজের সময় হলো: সূর্য উদয়ের পর নামাজ পড়ার মাকরূহ সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সূর্যটি যখন এক বল্লম বা এক বর্শা উপরে উঠে যাবে, তখন থেকে নিয়ে সূর্য আকাশ থেকে হেলে পড়া বা ঢলে যাওয়ার আগের মূহুর্ত পর্যন্ত। এই নামাজটি পড়া মুস্তাহাব বা একটি উত্তম কর্ম।
২। এই নামাজের রাকাতের সংখ্যা: সর্ব নিম্ন হলো দুই রাকাত এবং সর্বোত্তম হলো: দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত। আর সর্বাধিক রাকাত হলো আট রাকাত।
আবার অনেক আলেমের মতে: এই নামাজের রাকাতের অধিক সংখ্যার সীমা নির্ধারিত নেই। অতএব মুসলিম ব্যক্তি তার ইচ্ছা মত যতো রাকাত নামাজ পড়ার ইচ্ছা করবে ততো রাকাত নামাজ পড়তে পারবে। তবে এই নামাজগুলি দুই দুই রাকাত করে পড়তে হবে।
باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى وَأَنَّ أَقَلَّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْمَلَهَا ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَأَوْسَطَهَا أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ أَوْ سِتٌّ وَالْحَثِّ عَلَى الْمُحَافَظَةِ عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي الرِّشْكَ - حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - كَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةَ الضُّحَى قَالَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَيَزِيدُ مَا شَاءَ .
Mu'adha asked 'A'isha (Allah be pleased with her) how many rak'ahs Allah's Messenger (ﷺ) prayed at the forenoon prayer. She replied:
Four rak'ahs, but sometimes more as he pleased.