পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে
৭৯. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত দাস আবু মুয়াইহিবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন: ’আমাকে বাকী’ কবরস্থানের (মৃত) অধিবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং তুমি আমার সাথে চল।’ মধ্যরাতে আমি তাঁর সাথে সেখানে গেলাম। যখন তিনি তাদের (কবরবাসীদের) নিকটে গিয়ে দাঁড়ালেন, তখন বললেন: ’হে কবরবাসীগণ! তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। লোকেরা যে অবস্থায় সকালে উপনীত হচ্ছে তার চেয়ে ভাল অবস্থায় সকাল করার জন্য তোমাদেরকে অভিনন্দন। (মহান আল্লাহ যা থেকে তোমাদের কে মুক্তি দিয়েছেন, তা যদি তোমরা জানতে!) অন্ধকার রাতের টুকরার মতো ফিতনা ছুটে আসছে। একটির পেছনেই আরেকটি আসছে। পরবর্তীটি পূর্ববর্তীটির চেয়ে নিকৃষ্টতর।’ তারপর আমার দিকে ফিরে তিনি বললেন: ’হে আবু মুয়াইহিবা! আমাকে দুনিয়ার খাযানা’র (ধনভাণ্ডারের) চাবিগুচ্ছ এবং দুনিয়াতে চিরস্থায়িত্ব , অতঃপর জান্নাত দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমাকে এগুলি (নেয়া’মত) ও আমার রবের সাক্ষাৎ- এ দু’টির মাঝে একটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছে।’ আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি দুনিয়ার খাযানা’র (ধনভাণ্ডারের) চাবিগুচ্ছ এবং দুনিয়াতে চিরদিন থাকার সুযোগ, অতঃপর জান্নাত গ্রহণ করুন। তিনি বললেন: ’আল্লাহর কসম, না, হে আবু মুয়াইহিবা! বরং আমি আমার রবের সাক্ষাতকেই বেছে নিয়েছি।’ এরপর তিনি বাকী’র কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন, অতঃপর ফিরে এলেন। এরপরই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সেই (অসুখের) ব্যথা শুরু হল, যাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। [1]
باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ عُبَيْدٍ مَوْلَى الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، [ص: 216] عَنْ أَبِي مُوَيْهِبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي قَدْ أُمِرْتُ أَنْ أَسْتَغْفِرَ لِأَهْلِ الْبَقِيعِ فَانْطَلِقْ مَعِي» فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِمْ، قَالَ: " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْمَقَابِرِ، لِيُهْنِكُمْ مَا أَصْبَحْتُمْ فِيهِ مِمَّا أَصْبَحَ فِيهِ النَّاسُ، لَوْ تَعْلَمُونَ مَا نَجَّاكُمُ اللَّهُ مِنْهُ أَقْبَلَتِ الْفِتَنُ كَقِطْعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يَتْبَعُ آخِرُهَا أَوَّلَهَا: الْآخِرَةُ أَشَرُّ مِنَ الْأُولَى "، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ، فَقَالَ: «يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ إِنِّي قَدْ أُوتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدِ فِيهَا، ثُمَّ الْجَنَّةُ، فَخُيِّرْتُ بَيْنَ ذَلِكَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّي» قُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، خُذْ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدَ فِيهَا، ثُمَّ الْجَنَّةَ قَالَ: «لَا وَاللَّهِ يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ، لَقَدِ اخْتَرْتُ لِقَاءَ رَبِّي» ثُمَّ اسْتَغْفَرَ لِأَهْلِ الْبَقِيعِ ثُمَّ انْصَرَفَ، فَبُدِئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجَعِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ إسناده جيد