পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা আল-ফাতিহা
২৯৫৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করলো, অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলো না, তা (নামায) ক্রটিযুক্ত, তা ক্ৰটিযুক্ত, তা অসম্পূর্ণ।
বর্ণনাকারী (আবদুর রাহমান) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরাইরাহ! আমি তো অনেক সময় ইমামের পিছনে নামায আদায় করি। তিনি বললেন, হে পারস্য সন্তান! তুমি তা নীরবে পাঠ করবে। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে নামাযকে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি। নামাযের অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার। আর বান্দা আমার নিকট যা চায় তা-ই তাকে দেয়া হয়।
বান্দা যখন (নামাযে দণ্ডায়মান হয়ে) বলে, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন (সমস্ত প্রশংসা সারা পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ তা’আলার জন্য), তখন কল্যাণের আধার আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বান্দা বলে, আর-রাহমানির রাহীম (তিনি দয়াময় পরম দয়ালু), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। যখন বান্দা বলে, মালিকি ইয়াওমিদীন (প্রতিফল দিবসের মালিক), তখন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। এটা হচ্ছে আমার জন্য। আর আমার ও আমার বান্দার জন্য যোগসূত্র হচ্ছেঃ
ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন (আমরা শুধু তোমারই ইবাদাত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য চাই), সূরার শেষ পর্যন্ত আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই যা সে প্রার্থনা করে। বান্দা বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন’আমতা ’আলাইহিম। গাইরিল মাগযুবি ’আলাইহিম ওয়ালায য-ললীন” আমাদেরকে সরল ও মযবুত পথ দেখাও। ঐ মানুষদের পথ যাদের তুমি নিয়ামাত দান করেছ। যারা অভিশপ্ত হয়নি, যারা পথহারা হয়নি।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৮৩৮), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। শু’বাহ, ইসমাঈল ইবনু জাফার প্রমুখ আলা ইবনু আবদুর রাহমান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। ইবনু জুরাইজ ও মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) আল ইবনু ’আবদুর রাহমান হতে, তিনি হিশাম ইবনু আবূ যাহরার মুক্তদাস আবূস সায়িব হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবূ উয়াইস-তার বাবা হতে, তিনি ’আলা ইবনু আবদুর রাহমান হতে, তিনি তার পিতা ও আবূস সাইব হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক নামায আদায় করেছে অথচ তাতে উন্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) তিলাওয়াত করেনি, তার নামায ক্রটিযুক্ত অপূর্ণাঙ্গ।
সহীহ দেখুন পূর্বের হাদীস।
ইসমাঈল ইবনু আবূ উয়াইসের হাদীসে এর বেশি কিছু নেই। আমি এ হাদীস বিষয়ে আবূ যুর’আকে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, দুটি হাদীসই সহীহ। তিনি ইবনু আবী উয়াইস কর্তৃক তার বাবা হতে, তিনি আলী (রহঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। ’আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। তখন তিনি মসজিদে বসা ছিলেন। লোকেরা বলল, এই তো আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ)। আর আমি কোনরূপ নিরাপত্তা লাভ বা লিখিত চুক্তিপত্র করা ছাড়াই এসেছিলাম।
আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সমীপে হাযির করা হলে তিনি আমার হাত ধরলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিপূর্বে বলেছিলেন, আমি অবশ্যই আশা করি আল্লাহ তাআলা আমার হাতে তার হাত স্থাপন করবেন। আদী (রাযিঃ) বলেন, তিনি আমাকে সাথে নিয়ে উঠে চললেন। রাস্তায় এক মহিলা একটি বালকসহ তার সাথে দেখা করে। তারা উভয়ে বলে, আপনার নিকট আমাদের একটি প্রয়োজন ছিল। তাদের প্রয়োজন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
তারপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে তার ঘরে এলেন। একটি বালিকা তাকে একটি গদি পেতে দিল। তিনি তাতে বসলেন। আমি তার সামনাসামনি বসলাম। তিনি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তার গুনগান করলেন, তারপর বললেনঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" (আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই)-এর স্বীকৃতি দান হতে তোমাকে কিসে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য করেছে? এক আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আরো কোন প্রভু আছে বলে কি তোমার জানা আছে? আমি বললাম, না।
’আদী (রাযিঃ) বলেন, আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলা হতে পালাচ্ছ। আল্লাহ তা’আলার চাইতে শ্রেষ্ঠতর কিছু আছে বলে তোমার জানা আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ ইয়াহুদীরা অভিশপ্ত এবং নাসারাগণ পথভ্রষ্ট।
আমি বললাম, আমি যে একজন একনিষ্ঠ মুসলিম (আত্মমর্পণকারী) হয়েই আগমন করেছি। আমি দেখলাম, তার চেহারা আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। তারপর তার নির্দেশত্রুমে এক আনসার সাহাবীর বাড়িতে আমাকে মেহমান হিসেবে রাখা হয়। আমি দিনের দুই প্রান্তে তার নিকট হাযিরা দিতাম, একদা বিকেলে আমি তার নিকট হাযির ছিলাম। তখন তার নিকট একদল লোক আসলো। তারা সাদা-কালো ডোরাযুক্ত পশমী কাপড় পরিহিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাদের নিয়ে) নামায আদায় করলেন। তিনি নামায শেষে দাঁড়িয়ে এদেরকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে লোকদের উদ্বুদ্ধ করে ভাষণ দিলেন।
তিনি বললেনঃ তোমরা এক সা, অর্ধ সা, এক মুঠো, এক মুঠোর অংশবিশেষ, একটি খেজুর বা খেজুরের অংশবিশেষ দান করে হলেও জাহান্নামের তাপ (আগুন) হতে আত্মরক্ষা কর। কারণ আল্লাহ তা’আলার সাথে তোমাদের সকলেরই সাক্ষাৎ হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে তাই বলবেন যা আমি (এখন) তোমাদের বলছি।
তিনি বলবেনঃ আমি কি তোমাকে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করিনি? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ বলবেন? আমি কি তোমাকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দান করিনি? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ বলবেনঃ তুমি নিজের জন্য কি অগ্রিম পাঠিয়েছিলে? তখন সে তার সামনে, পেছনে, ডানে ও বামে তাকাবে, কিন্তু সে জাহান্নামের তাপ হতে বাচানোর মত কিছুই পাবে না। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকে যেন নিজেকে একটি খেজুরের অংশবিশেষ দান করে হলেও জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করে।
কোন ব্যক্তির যদি এই সামর্থ্যও না থাকে, তবে সে যেন অন্তত ভালো কথা বলে (তা হতে আত্মরক্ষা করে)। আমি তোমাদের ব্যাপারে দুর্ভিক্ষের আশংকা করি না। কারণ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের সাহায্যকারী ও দানকারী। এমনকি উষ্ট্রারোহিণী কোন মহিলা ইয়াসরিব (মদীনা) হতে হীরা বা ততোধিক দূরত্বের সফর করবে এবং তার জন্তুযানের কিছু চুরি যাওয়ার ভয় থাকবে না। ’আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) বলেন, আমি মনে মনে বললাম, তাহলে তাঈ কবীলার চোরগুলো কোথায় যাবে?
হাসান।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা সিমাক ইবনু হারব ব্যতীত আর কারো নিকট হতে এটা অবহিত নই। হাদীসটি দীর্ঘভাবে শুবাহ-সিমাক ইবনু হারব হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু হুবাইশ হতে, তিনি ’আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ " . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ . قَالَ يَا ابْنَ الْفَارِسِيِّ فَاقْرَأْهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُومُ الْعَبْدُ فَيَقْرَأُ : (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) فَيَقُولُ اللَّهُ حَمِدَنِي عَبْدِي فَيَقُولُ : (الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فَيَقُولُ اللَّهُ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي فَيَقُولُ : ( مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) فَيَقُولُ مَجَّدَنِي عَبْدِي وَهَذَا لِي وَبَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي : (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ) وَآخِرُ السُّورَةِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُولُ : (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى ابْنُ جُرَيْجٍ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا . وَرَوَى ابْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي وَأَبُو السَّائِبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا . أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ وَيَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَارِسِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي أَبِي وَأَبُو السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ وَكَانَا جَلِيسَيْنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ " . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا . وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ كِلاَ الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحٌ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْعَلاَءِ . أَخْبَرَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ الْقَوْمُ هَذَا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ . وَجِئْتُ بِغَيْرِ أَمَانٍ وَلاَ كِتَابٍ فَلَمَّا دَفَعْتُ إِلَيْهِ أَخَذَ بِيَدِي وَقَدْ كَانَ قَالَ قَبْلَ ذَلِكَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ يَدَهُ فِي يَدِي قَالَ فَقَامَ بِي فَلَقِيَتْهُ امْرَأَةٌ وَصَبِيٌّ مَعَهَا . فَقَالاَ إِنَّ لَنَا إِلَيْكَ حَاجَةً فَقَامَ مَعَهُمَا حَتَّى قَضَى حَاجَتَهُمَا ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي حَتَّى أَتَى بِي دَارَهُ فَأَلْقَتْ لَهُ الْوَلِيدَةُ وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا وَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " مَا يُفِرُّكَ أَنْ تَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَهَلْ تَعْلَمُ مِنْ إِلَهٍ سِوَى اللَّهِ " . قَالَ قُلْتُ لاَ . قَالَ ثُمَّ تَكَلَّمَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا تَفِرُّ أَنْ تَقُولَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَتَعْلَمُ أَنَّ شَيْئًا أَكْبَرُ مِنَ اللَّهِ " . قَالَ قُلْتُ لاَ قَالَ " فَإِنَّ الْيَهُودَ مَغْضُوبٌ عَلَيْهِمْ وَإِنَّ النَّصَارَى ضُلاَّلٌ " . قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي جِئْتُ مُسْلِمًا . قَالَ فَرَأَيْتُ وَجْهَهُ تَبَسَّطَ فَرَحًا قَالَ ثُمَّ أَمَرَ بِي فَأُنْزِلْتُ عِنْدَ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ جَعَلْتُ أَغْشَاهُ آتِيهِ طَرَفَىِ النَّهَارِ قَالَ فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ عَشِيَّةً إِذْ جَاءَهُ قَوْمٌ فِي ثِيَابٍ مِنَ الصُّوفِ مِنْ هَذِهِ النِّمَارِ قَالَ فَصَلَّى وَقَامَ فَحَثَّ عَلَيْهِمْ ثُمَّ قَالَ " وَلَوْ صَاعٌ وَلَوْ بِنِصْفِ صَاعٍ وَلَوْ بِقَبْضَةٍ وَلَوْ بِبَعْضِ قَبْضَةٍ يَقِي أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ حَرَّ جَهَنَّمَ أَوِ النَّارِ وَلَوْ بِتَمْرَةٍ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَقِي اللَّهَ وَقَائِلٌ لَهُ مَا أَقُولُ لَكُمْ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ سَمْعًا وَبَصَرًا فَيَقُولُ بَلَى . فَيَقُولُ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ مَالاً وَوَلَدًا فَيَقُولُ بَلَى . فَيَقُولُ أَيْنَ مَا قَدَّمْتَ لِنَفْسِكَ فَيَنْظُرُ قُدَّامَهُ وَبَعْدَهُ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ لاَ يَجِدُ شَيْئًا يَقِي بِهِ وَجْهَهُ حَرَّ جَهَنَّمَ لِيَقِ أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ فَإِنِّي لاَ أَخَافُ عَلَيْكُمُ الْفَاقَةَ فَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرُكُمْ وَمُعْطِيكُمْ حَتَّى تَسِيرَ الظَّعِينَةُ فِيمَا بَيْنَ يَثْرِبَ وَالْحِيرَةِ أَكْثَرُ مَا تَخَافُ عَلَى مَطِيَّتِهَا السَّرَقَ " . قَالَ فَجَعَلْتُ أَقُولُ فِي نَفْسِي فَأَيْنَ لُصُوصُ طَيِّئٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ . وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْحَدِيثَ بِطُولِهِ .
Narrated Al-'Ala bin 'Abdur-Rahman:
from his father, from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever performs a Salat in which he does not recite Umm Al-Qur'an in it, then it is aborted, it is aborted, not complete." He Said: "I said: 'O Abu Hurairah! Sometimes I am behind an Imam.' He said: 'O Ibn Al-Farisi! Then recite it to yourself. For indeed I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: Allah, the Most High said: "I have divided the Salat between Myself and My slaves into two halves. Half of it is for Me, and half of it for My slave, and My slave shall have what he asks for. My slave stands and says: All praise is due to Allah, the Lord of All that exists." So Allah, Blessed is He and Most High says: "My slave has expressed his gratitude to Me." He says: "The Merciful, the Beneficent. So he says: "My slave has praised Me." He says: Owner of the Day of Reckoning. He says: "My slave has glorified Me. And this is for Me, and between Me and My slave is: It is You alone whom we worship and it is You alone from whom we seek aid" until the end of the Surah "This is for My slave and My slave shall have what he asks for." So he says: Guide us to the straight path. The path of those upon whom You have bestowed your favor, not those with whom is Your wrath, now those who are astray."'
(Another chain) from 'Adi bin Hatim who said:
"I went to the Prophet (ﷺ) while he was sitting in the Masjid, the people said: 'This is 'Adi bin Hatim.' And I came without having a treaty nor a writ. When I was brought to him, he took my hand. Prior to that he had said: 'I hope that Allah will place his hand in my hand.'" He said: "He stood with me, and a woman and a boy met him and said: 'We have a need from you.' He stood with them, until he was finished dealing with what they wanted. Then he took me by the hand until he brought me to his house. A slave girl brought him a cushion to sit on, and I sat in front of him. He expressed thanks and praise for Allah then said: 'What has caused you to flee from saying La Ilaha Illallah? Do you know of another god other than Him?'" He said: "I said: 'No.'" He said: "Then he talked for some time, and then said: 'You refuse to say Allahu Akbar because you know that there is something greater than Allah?'" He said: "I said: 'No.' He said: 'Indeed the Jews are those who Allah is wrath with, and the Christians have strayed.'" He said: "I said: 'Indeed I am a Muslim, Hanif.'" He said: "I saw his face smiling with happiness." He said: "Then he ordered that I stop with him at the home of a man from the Ansar, whom he would frequently visit in the mornings and the evenings. When I was with him at night, a people in woolen garments of these Nimar (a cloth with certain patters, and the word appeared before) came. Then he performed Salat and stood to encourage them (the people) to give (charity) to them. Then he said: 'Even with a Sa' or half a Sa', or a handful or part of a handful, to save the face of one of you from the heat of Hell, or the Fire. And even if it be by a date or a part of a date - for indeed one of you shall meet Allah and it shall be said to him what I say to you: "Have I not given hearing and seeing to you?" He shall say: "Of course." It will be said: "Have I not given you wealth and children?" He shall say: "Of course." It will be said: "So where is what you have sent forth for yourself?" He will look before him and behind him, on his right and on his left, but he shall not find anything to protect his face from the heat of Hell. Let one of you protect his face from the Fire, even if with part of a date, and if he does not find that, then with a good statement. For indeed I do not fear poverty for you - Allah will aid you and grant you, such that a woman can travel on her camel howda from Yathrib to Al-Hirah, or further, without fear of being robbed.' I began thinking to myself: "Where would the thieves of Taiy' be then?"'