পরিচ্ছেদঃ ২/৯. পদদ্বয় পরিপূর্ণভাবে ধৌত করার আবশ্যকতা
১৩৯. আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (’আসরের) সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈস্বঃরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুকনো থাকার) জন্য জাহান্নামের ’আযাব রয়েছে। তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবীগণ বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মক্কা থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করার পথে যখন রাস্তায় একটি পানির কূপের নিকট পৌঁছলাম, আমাদের মধ্যকার কতক লোক আসরের সময় তাড়াতাড়ি অযু করতে গেলেন এবং তাড়াহুড়া করে অযু করলেন। অতঃপর আমরা তাদের নিকট পৌঁছলাম ও দেখলাম তাদের পায়ের গোড়ালী শুষ্ক চকচক করছে, সেখানে পানি পৌঁছেনি, তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে সাবধান করেছেন।
হাদিস থেকে শিক্ষা
১. পা ধোয়া ফরয। আর এটিই কুরআন, হাদীস, সাহাবায়ে কেরামের আমল এবং তাবেয়ীগণের মত। এর ওপরই উম্মতের ইজমা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিয়াদের বিরোধিতা গ্রহণযোগ্য নয়।
২. এ জন্যই অযুর জায়গায় যদি দৃশ্যমান প্রলেপ পড়ে এমন কিছু থাকে, যার কারণে শরীরের চামড়ায় পানি পৌঁছবে না এমন হয়ে যায়, তবে তা সরানো পর্যন্ত অযু হবে না। যেমন- নেইল পালিশ, প্রলেপ বিশিষ্ট রঙ, কড়া মেকআপ ইত্যাদি। অযু বা গোসল বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য তা অবশ্যই দূর করতে হবে।
৩. যারা অযু করার ক্ষেত্রে কসুর করবে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে।
وجوب غسل الرجلين بكمالهما
حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ تَخَلَّفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ سَافَرْنَاهُ فَأَدْرَكَنَا وَقَدْ أَرْهَقْنَا الصَّلاَةَ صَلاَةَ الْعَصْرِ وَنَحْنُ نَتَوَضَّأُ فَجَعَلْنَا نَمْسَحُ عَلَى أَرْجُلِنَا فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنْ النَّارِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا