হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩০২৮

পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ -পানীয়। التَّسْنِيمُ জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।

৩০২৮। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীগণ তাদের উপরের বালাখানার অধিবাসীদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব অথবা পশ্চিম দিগন্তে উজ্জল দীপ্তমান তারকা দেখতে পাও। এটা হবে তাদের মধ্যে মর্যাদার ব্যবধানের কারণে। সাহাবীগণ বললেন, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো নবীগণের জায়গা। তাদের ছাড়া তথায় অন্যরা সেখানে পৌঁছাতে পারবে না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যেসব লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, এবং রাসূলগণকে সত্য বলে স্বীকার করবে (তারা সেখানে পৌঁছতে পারবে)।

باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْجَنَّةِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ مُطَهَّرَةٌ مِنَ الْحَيْضِ وَالْبَوْلِ وَالْبُزَاقِ. {كُلَّمَا رُزِقُوا} أُتُوا بِشَيْءٍ ثُمَّ أُتُوا بِآخَرَ {قَالُوا هَذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ} أُتِينَا مِنْ قَبْلُ {وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا} يُشْبِهُ بَعْضُهُ بَعْضًا، وَيَخْتَلِفُ فِي الطُّعُومِ {قُطُوفُهَا} يَقْطِفُونَ كَيْفَ شَاءُوا دَانِيَةٌ قَرِيبَةٌ. الأَرَائِكُ السُّرُرُ. وَقَالَ الْحَسَنُ: النَّضْرَةُ فِي الْوُجُوهِ وَالسُّرُورُ فِي الْقَلْبِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {سَلْسَبِيلاً} حَدِيدَةُ الْجِرْيَةِ. {غَوْلٌ} وَجَعُ الْبَطْنِ {يُنْزَفُونَ} لاَ تَذْهَبُ عُقُولُهُمْ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {دِهَاقًا} مُمْتَلِئًا {كَوَاعِبَ} نَوَاهِدَ. الرَّحِيقُ الْخَمْرُ. التَّسْنِيمُ يَعْلُو شَرَابَ أَهْلِ الْجَنَّةِ {خِتَامُهُ} طِينُهُ {مِسْكٌ}، {نَضَّاخَتَانِ} فَيَّاضَتَانِ. يُقَالُ مَوْضُونَةٌ مَنْسُوجَةٌ، مِنْهُ وَضِينُ النَّاقَةِ. وَالْكُوبُ مَا لاَ أُذُنَ لَهُ وَلاَ عُرْوَةَ. وَالأَبَارِيقُ ذَوَاتُ الآذَانِ وَالْعُرَا. {عُرُبًا} مُثَقَّلَةً وَاحِدُهَا عَرُوبٌ، مِثْلُ صَبُورٍ وَصُبُرٍ، يُسَمِّيهَا أَهْلُ مَكَّةَ الْعَرِبَةَ، وَأَهْلُ الْمَدِينَةِ الْغَنِجَةَ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ الشَّكِلَةَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {رَوْحٌ} جَنَّةٌ وَرَخَاءٌ، {وَالرَّيْحَانُ} الرِّزْقُ، وَالْمَنْضُودُ الْمَوْزُ، وَالْمَخْضُودُ الْمُوقَرُ حَمْلاً وَيُقَالُ أَيْضًا لاَ شَوْكَ لَهُ، وَالْعُرُبُ الْمُحَبَّبَاتُ إِلَى أَزْوَاجِهِنَّ. وَيُقَالُ مَسْكُوبٌ جَارٍ، وَ{فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ} بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ. {لَغْوًا} بَاطِلاً. {تَأْثِيمًا} كَذِبًا. أَفْنَانٌ أَغْصَانٌ {وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ} مَا يُجْتَنَى قَرِيبٌ. {مُدْهَامَّتَانِ} سَوْدَاوَانِ مِنَ الرِّيِّ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَتَرَاءَيُونَ أَهْلَ الْغُرَفِ مِنْ فَوْقِهِمْ كَمَا يَتَرَاءَيُونَ الْكَوْكَبَ الدُّرِّيَّ الْغَابِرَ فِي الأُفُقِ مِنَ الْمَشْرِقِ أَوِ الْمَغْرِبِ، لِتَفَاضُلِ مَا بَيْنَهُمْ ‏"‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، تِلْكَ مَنَازِلُ الأَنْبِيَاءِ لاَ يَبْلُغُهَا غَيْرُهُمْ قَالَ ‏"‏ بَلَى وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، رِجَالٌ آمَنُوا بِاللَّهِ وَصَدَّقُوا الْمُرْسَلِينَ ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) said, "The people of Paradise will look at the dwellers of the lofty mansions (i.e. a superior place in Paradise) in the same way as one looks at a brilliant star far away in the East or in the West on the horizon; all that is because of their superiority over one another (in rewards)." On that the people said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Are these lofty mansions for the prophets which nobody else can reach? The Prophet (ﷺ) replied," No! "By Allah in whose Hands my life is, these are for the men who believed in Allah and also believed in the Apostles."